Jagjivan Ram, green revolution, Dr. Vikram Sarkar, সবুজ বিপ্লব সফল করতে জগজীবন রামের গুরুত্বপূর্ণ অবদান: ডঃ বিক্রম সরকার

আমাদের ভারত, কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি: বেঙ্গল প্রাদেশিক দলিত শ্রেণি লিগ এবং বাবু জগজীবন রাম ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন, নয়াদিল্লি যৌথভাবে দেশের মহান জাতীয় নেতা, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী বাবু জগজীবন রামকে অবিলম্বে ভারতরত্ন পুরস্কার দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

শনিবার এ প্রসঙ্গে কলকাতার আরপুল্লি লেনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে উভয় সংস্থার কর্মকর্তারা যৌথভাবে জানান, কৃষিবিদ এমএস স্বামীনাথন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাও, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিং, জননায়ক কর্পুরী ঠাকুর এবং প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী এল কে আদবানিকে ভারতের রত্নতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানানো হচ্ছে। কিন্তু বাবু জগজীবন রামকেও ভারতের এই শ্রেষ্ঠ সম্মানে সম্মানিত করা উচিত।

যাঁরা তাঁদের মতামত ব্যক্ত করেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন বঙ্গীয় প্রাদেশিক দলিত শ্রেণি লীগের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ দাস, প্রাক্তন সাংসদ ও বিজেপি নেতা ড: বিক্রম সরকার, জগজীবন রামের সহযোগী ও বিশিষ্ট শিল্পপতি আত্মারাম সোঁথালিয়া, অধ্যাপক ড: রামু রাম, সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি দেবনন্দন প্রসাদ, সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক ড. সদস্য জওহর চৌধুরী, সিনিয়র সদস্য মুনিলাল রাম। উপস্থিত ছিলেন বঙ্গীয় প্রাদেশিক দলিত শ্রেণী লীগের সাধারণ সম্পাদক হরিরাম রাম সহ একাধিক কর্মকর্তা।

ডক্টর বিক্রম সরকার বলেন, “জগজীবন রাম এখনও ভারতরত্ন না পেলেও তিনি আমাদের কাছে ভারতরত্নের প্রতীক। তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হলে ভারত সরকার গর্বিত হবে। যাঁরা দেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছেন, তাঁদেরই এই সম্মান দেওয়া উচিত। এই সম্মান দেওয়া নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়। দেশে একটা ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে যে তিনি একজন দলিত নেতা ছিলেন। কিন্তু দলিত হয়েও তিনি ছিলেন একজন গণনেতা। তিনি সব বিভাগের জন্য কাজ করেছেন।”

বিক্রমবাবু বলেন, “কৃষিবিদ স্বামীনাথন তাঁর মন্ত্রকের অধীনে কাজ করেছিলেন। দেশে সবুজ বিপ্লব সফল করতে জগজীবন রামের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কৃষিমন্ত্রী হিসেবে তাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে একটি স্মারকলিপি দেওয়া উচিত এবং এই বিষয়ে তাঁদের সাথে দেখা করা উচিত।”

শিল্পপতি আত্মারাম সোঁথালিয়া বলেন, তিনি বাবু জগজীবন রামের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। দেশে যখন খাদ্য সংকট ছিল, তখন তিনি সত্যিকার অর্থে হরিতকান্তি এনে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। কয়লা ও বিমানশিল্প জাতীয়করণ করা হয়। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে তিনি উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন। কিন্তু সম্মান দেওয়ার নামে তা একতরফা করা হচ্ছে। কৃষি উন্নয়নে তাঁর অবদান বিজ্ঞানী স্বামীনাথনের চেয়ে কম নয়। কিন্তু কেন তাঁরা অবহেলিত ছিল জানি না।

আত্মারাম সোঁথালিয়ার মতে, ভারতরত্ন পুরস্কার কখনও তিনজনের বেশি দেওয়া হয়নি, তবে ২০০৪ সালে পাঁচজনকে নির্বাচিত করা হয়। যখন পাঁচটি থাকে, তখন ছয়টিও হতে পারে। দেশের অনেক বড় প্রতিষ্ঠান জগজীবন রামকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি করছে।

ডাঃ রামু দাস বলেন যে তাঁর মেয়ে এবং লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমার চাইলে, তিনি তাঁর সময়ে সহজেই তাঁকে এই পুরস্কার দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি। এর পিছনে একমাত্র কারণ হতে পারে যে তিনি তাঁদের পিতা ছিলেন। যদি তিনি তাঁর বাবার জন্য এটা করতেন, তাহলে লোকে বলত এটা ঠিক না। এখন জগজীবন রামের এই দাবি জানানোর দায়িত্ব আমাদের।

এ উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, এই সম্মান পাওয়ার জন্য তিনি নিরন্তর প্রচারণা চালাবেন। জগজীবন রামকে উপেক্ষা করা ঠিক নয়। দেশে তাঁর বিপুল সংখ্যক ভক্ত রয়েছে। ভারতরত্ন পেলে জগজীবন রামের ভক্তরা খুশি হবেন। কেন্দ্রীয় সরকারকে এর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *