কর্মীসভায় নেতা মন্ত্রীরা উস্কালেন বিপ্লবের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা, রাজ্য নেতৃত্বরা নিশ্চুপ হওয়ায় জোড়ালো হল জল্পনা

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৩ ফেব্রুয়ারি: দলকে সামনে রেখে আখের গোছানো নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। বালুরঘাটে তৃণমূলের কর্মীসভায় জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যপাধায়ের এমন হুঁশিয়ারিতে কিছুটা সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছ জেলার একাংশ নেতৃত্বরা। সোমবার পতিরাম হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত একটি কর্মীসভায় রাজ্য নেতার এমন কড়া বক্তব্যে কর্মী সমর্থকদের হাততালিতে ভরে ওঠে সভাস্থল। এদিন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে তাল মিলিয়ে জেলার বেশকিছু নেতৃত্বকে নাম না করে সতর্ক করেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও। সব মিলিয়ে আগামী নির্বাচনের আগে দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফেরাতে তৃণমূল যে সমঝোতার পথে হাঁটবে না তা একপ্রকার নিশ্চিত করেছেন রাজ্য নেতারা তাদের স্পষ্ট বক্তব্যেই।

এদিন কয়েক হাজার কর্মীসমর্থকের উপস্থিতিতে পতিরামের সভায় দাঁড়িয়ে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি জানিয়েছেন, দলের নাম ভাঙিয়ে যারা খাচ্ছেন তাঁদের সমস্ত হিসাব রয়েছে নেত্রীর কাছে। সময় এলেই প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিনের এই সভায় জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্বরা। যাদের প্রত্যেকের বক্তব্যেই উস্কে ওঠে দলের পুরনো নেতা বিপ্লব মিত্রকে দলে ফেরানোর বিষয়। গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন বিধায়ক সত্যেন রায় বিপ্লব মিত্রর নাম না করে পচা আলু বলে কটাক্ষ করেছেন। মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদাও জানিয়েছেন, তিনি দল ছাড়তেই গাছে পাতা, ফুল আবার নতুন করে গজাতে শুরু করেছে দলে।একইভাবে খোদ দলের সভাপতি অর্পিতা ঘোষও তার হারের কারণের জন্য নাম না করে দায়ী করে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে থেমে গিয়েছেন। সে যেন আর কোনও ভাবে দলে ফিরতে না পারে সেই কথাও রাজ্য নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে জানিয়েছেন জেলা নেতৃত্বরা প্রায় সকলেই। বিপ্লব মিত্রের নাম না করে এদিন রাজ্য নেতৃত্বর সামনে তার পুনরায় দলে ফেরার বিষয় নিয়ে জেলার নেতা মন্ত্রীদের এমন বক্তব্যে যথেষ্টই আলোড়ন পড়েছে খোদ তৃণমূলের অন্দরে। যা নিয়ে এদিন রাজ্য নেতৃত্বদের গলাতে কোনও নেতিবাচক সুর লক্ষ্য করা যায়নি। রাজ্য সভাপতি ও জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রীর এই ঘটনা নিয়ে নিশ্চুপতায় বিপ্লব মিত্রের দলে ফেরার জল্পনা আরো জোড়ালো এবং সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *