আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১০ সেপ্টেম্বর: চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা ও দুর্নীতি সঙ্গে যুক্ত জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের পাঁচজন নেতার নাম প্রকাশ্য জনসভায় বলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা জবাব দিতে তৃণমূলের নেতারা কেউ মানহানির মামলা করবেন বললেন তো আবার কেউ বা শুভেন্দুকে চোর বলে আক্রমণ করলেন। ইডি ও সিবিআই বিজেপির এজেন্সি হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করল তৃণমূল।
বিজেপির নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখে শুক্রবার জলপাইগুড়ি মাদ্রাসা মাঠে জনসভা হয়। সেখান থেকে শুভেন্দু কাগজে লেখা নাম দেখে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র তথা তৃণমূল কৃষান ক্ষেত মজদুর কমিটির জেলা সভাপতি দুলাল দেবনাথ, তৃণমূলের এসটি এসসি সেলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ দাস, তৃণমূল নেতা মোস্তাক হুশেন, এছাড়া নাম না করে যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেন।
এজেন্সি আসলে কোথায় যাবেন এই ভাসাতেই হুমকির সুরে বক্তব্য দেন শুভেন্দু।
এ দিন দুলাল দেবনাথ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “আমি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব বুধবারের মধ্যে। আদালতে তাঁকে প্রমাণ করতে হবে আমি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। আমার বিরুদ্ধে এক টাকার দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে আমি নাকে খত দেব, রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিয়ে যে নেতা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ওই নেতার জুতো মাথায় নেব। একটা কথা, জলপাইগুড়ির বিরোধী দলের সব নেতার দাগ ও খতিয়ান নম্বর আমার জানা আছে। আমার ছেলে মাস্টার ডিগ্রির সঙ্গে বিপিএড করা আছে। টেট পরীক্ষায় পাস করেছে।”
এদিকে কৃষ্ণ দাস পাল্টা শুভেন্দুকে আক্রমণ করে বলেন, “ইডি ও সিবিআইকে দিয়ে আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমার বিরুদ্ধে ইডি সিবিআই লাগাতে পারেন। তবে আপনার বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া দরকার। আপনার দম থাকলে আপনার বিরুদ্ধে ইডি সিবিআইয়ের তদন্ত করতে বলুন। আপনাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। আসলে চোরের মার বড় গলা।”
যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “একটা দুর্নীতি দেখাতে পারলো আমি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেব। ইডি ও সিবিআইকে দিয়ে রাংলার রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করছেন শুভেন্দু।”