আমাদের ভারত, ৬ জুন: লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ এসেছে। এই আবহাওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়, বিজেপি চুপ করে বসে থাকবে না, প্রত্যুত্তর দেবে। এতে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে তার দায় মুখ্যমন্ত্রীর
৪ তারিখে ভোটের ফলাফল প্রকাশ হবার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। আজ মাহেশ্বরী ভবনে বিজেপির ঘরছাড়াদের সাথে দেখা করতে যান সুকান্ত। সেখানেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের শাসক দলকে। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো উপদ্রুত অঞ্চলে যেতে। যারা বিজেপির ভোটার তারাও তো রাজ্যের নাগরিক। আপনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হবার পরেও সেই নাগরিকদের উপরে যদি আপনার কোনো দায়বদ্ধতা না থাকে সেটা প্রকাশ্যে ঘোষণা করুন। পরিষ্কার করে বলুন, যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে তাদের প্রতি আমার কোনো দায়বদ্ধতা নেই। আমরা সেটা মেনে নেব। আপনার কাছে কোনো প্রত্যাশা করব না।”
মাহেশ্বরী ভবনের পর সুকান্ত মজুমদার আজ মিনাখাঁয় যাবেন বলে জানান। তারপর দিল্লি উড়ে যাবেন। বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ হলে পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি দেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “দিল্লি থেকে ফিরে এসে প্রত্যেকটি জেলায় আমি যাব। প্রয়োজনে পাল্টা মার হবে। সব জায়গায় বিজেপি লড়বে। তৃণমূল সংযত না হলে আমরা পাল্টা মারবো।’
তাঁর কথায়, “তৃণমূল গণতন্ত্রকে মানে না। তাই বলে বিজেপি চুপ করে বসে থাকবে না। প্রয়োজনে বিজেপি উত্তর দেবে। তখন রাজের আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি খারাপ হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি পরামর্শ দেওয়ার সুরে বলেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি আপনি ২৯টা সিট পেয়েছেন আপনাকে অভিনন্দন। কিন্তু মনে রাখবেন বেশি ক্ষমতা মানে অনেক বেশি দায়িত্ব।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি মনে করিয়ে দেন, আপনি যখন বিরোধী ছিলেন তখন আপনার একটা আসন ছিল। সেখানে এখনো ভারতীয় জনতা পার্টির বারোটা এমপি জিতেছে। তাই শুধরে যান।”
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসা কোনো রাজ্যে ঘটে না। শুধুমাত্র বাংলাতেই ঘটে। এটাই এগিয়ে বাংলার মডেল। এটাই মুখ্যমন্ত্রীর উপহার। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আদালতে যাওয়ার বিষয়ে দল আইনি পরামর্শ নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।