আমাদের ভারত, ১০ এপ্রিল: রাজ্যজুড়ে ২০১৬-র এসএসসির বাতিল প্যানেলে নাম থাকা ২৬ হাজার শিক্ষক, শিক্ষা কর্মী প্রতিবাদে নেমেছেন। সেই প্রসঙ্গে টেনে রাজ্যের মন্ত্রী তথা ফিরহাদ হাকিম চাকরিহারাদের সম্পর্কে বলেছেন, তারা যেন গ্যাস খেয়ে এই সব না করেন। আর ফিরহাদের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বুধবার জেলায় জেলায় ডি আই অফিসে শিক্ষকদের ডেপুটেশন জমাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। চাকরিহারাদের লাথি, লাঠির বাড়ি খেতে হয়েছে পুলিশের কাছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে চাকরিহারাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা রাখার পরামর্শ দিতে গিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, চাকরিহারা শিক্ষকদের মুখ্যমন্ত্রী যখন স্কুলে যেতে বলেছেন তখন তারা ডিআই অফিস দখল করতে গেলেন কেন? ফিরহাদের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
চাকরিহারারা বুধবার কসবায় ডিআই অফিসে গেলে সেখানে তাদের পুলিশের হাতে লাঠির বাড়ি তো বটেই তাদের উপর নির্বিচারে লাথি মারা হয়। এ ব্যাপারে ফিরহাদের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ তাঁর বক্তব্য ছিল, শিক্ষকদের কাজ পড়ানো, পড়াবেন। বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, শুভেন্দু অধিকারীদের কথায় যেন চাকরিহারারা গ্যাস না খান। এরপর সেই মন্তব্যেরই পাল্টা দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ফিরহাদ হাকিম মানুষের কষ্ট বোঝেন না। কলকাতার মেয়রকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষকদের পাশে না থাকতে পারলে অসম্মান করবেন না।
বুধবার চাকরির দাবি নিয়ে ডিআই অফিসে গিয়ে পুলিশের লাঠি মারধর জুটেছে চাকরিহারাদের। তারপর আবার তার বিরুদ্ধেই জোড়া মামলা দায়ের হয়েছে। কসবা ডিআই- এর করা অভিযোগের ভিত্তিতেই হয়েছে এই মামলা হয়েছে। অপরটি কসবা থানার পুলিশের করা স্বতপ্রণোদিত মামলা। যদিও নির্দিষ্ট ভাবে কারো নামে অভিযোগ দায়ের হয়নি। অজ্ঞাত পরিচয় কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
কসবায় চাকরি হারাদের ওপর লাঠি চার্জের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের বক্তব্য ছিল, বাধ্য হয়ে হালকা বল প্রয়োগ করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, পুলিশ কারো বিরুদ্ধে নয়, পরিস্থিতি বাধ্য না করলে পুলিশ বল প্রয়োগ করে না।