আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ১০ এপ্রিল: “যারা যোগ্য তাঁরা চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে কালীঘাটে যাচ্ছে। এরপর যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল তারাও কালীঘাটে যাবে।” বৃহস্পতিবার বীরভূমের নলহাটিতে ব্যক্তিগত সফরে এসে এ কথা বলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
এদিন দুপুরে বহরমপুর থেকে দিলীপ ঘোষ সোজা চলে যান নলহাটি পাহাড়ে অঞ্জন সিনহার বাড়িতে। ব্যক্তিগত সফরে এসেও সাংবাদিকদের অনুরোধে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবছেন যারা টাকা পয়সা নিয়েছেন তাদের কিভাবে বাঁচাবেন। যারা টাকা নিয়েছিলেন অনেকে পাড়া ছেড়ে পালিয়েছেন। যারা কিংপিন ছিলেন তাঁরা জেলে। যারা অযোগ্য তাদের টাকাও গেল চাকরিও গেল। তাঁরা খুঁজছে যাদের টাকা দিয়েছেন, কিন্তু পাচ্ছেন না। তাঁরা তো অভিষেক পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে না। তবে যাবে একসময়। যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল তাঁরা কালীঘাটে যাবেই। এখন যোগ্যরা যাচ্ছেন।”
কলাণ-সৌগত-মহুয়ার দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, “ওটা কংগ্রেসি কালচার। দলে কেউ কাউকে মানে না। ওদের দলে কোনো শৃঙ্খলা, আদর্শ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। নেতা, পার্টি কিংবা সরকারের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ওদের অন্তর্জলিযাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে। কল্যাণ– সৌগত, কুণাল– সৌগত, কুণাল – পার্থর দ্বন্দ্ব পুরনো ঝগড়া।”
হুমায়ুন কবিরের হুঙ্কারের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুর্শিদাবাদ কি ভারতবর্ষের বাইরে হয়ে গিয়েছে নাকি? কেউ যদি ভাবে গুন্দামি করবে, করুক। আমি তো দু’দিন ধরে প্রকাশ্যে মুর্শিদাবাদে ঘুরে বেরাচ্ছি। আমি সব জেলায় ঘুরে বেরাবো। দেখি ওরা কত দেশদ্রোহিতা করে। আমার ঠিক আছি বলে রাম নবমীর মিছিলে লক্ষ লক্ষ লোক রাস্তায় বেড়িয়েছে। হিন্দুরা বুঝে গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের বাঁচাবে না। নিজেদের বাঁচতে হবে। যারা বেশি উৎপাত করছে, দেশ বিরোধী কাজ করছে তাদের জবাব এই সমাজ দেবে।’