আমাদের ভারত, ২ জুন: রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে দুষ্কৃতিদের এনকাউন্টার করা হবে। একেবারে উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট হবে। রবিবার নদীয়ায় বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর খবরে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
ভোট শেষ হওয়ার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিরোধী মূলত বিজেপি নেতা, কর্মী, পোলিং এজেন্টের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নদীয়ার কালীগঞ্জে এক সংখ্যালঘু বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। বেলেঘাটায় মহিলা পোলিং এজেন্টের মাথা ফেটেছে। ব্যারাকপুরে বিজেপির এজেন্টের বাড়ির সামনে একের পর এক বোমা ফেলা হয়েছে।
এর আগেও সুকান্ত মজুমদারের মুখে এনকাউন্টারের কথা শোনা গিয়েছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ যখন শেখ শাহজাহানকে খুঁজে বেড়াচ্ছে তখনই তিনি বলেছিলেন, শাজাহান, শিবু হাজরাদের এনকাউন্টার করা উচিত। এবার সুকান্তবাবু বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্যে এনকাউন্টার হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় আসতে চলেছে, ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির ঝান্ডা ধরেও কিন্তু বাঁচতে পারবেন না। কলকাতা, নদীয়া, বসিরহাটে ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট হবে। পুরো এনকাউন্টার হবে। দুষ্কৃতীরা যেন সাবধানে থাকে। তাদের দিন ঘনিয়ে এসেছে।”
২০১৭ সালের যোগী সরকার ক্ষমতায় আসার পর উত্তরপ্রদেশে একের পর এক দুষ্কৃতি এনকাউন্টারে খতম হয়েছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে এই পদ্ধতিকে অনেকেই সাধুবাদও জানিয়েছেন। একের পর এক দুষ্কৃতিকে সরাসরি খতম করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথ সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস সহ সেই রাজ্যের বিরোধী দলগুলি।
এদিকে ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেপির বসিরহাট অভিযানের আগে সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, শাজাহান, উত্তম সর্দার যেই হোক, যারা এ কাজ করেছে আইনের উচিৎ এনকাউন্টার করে তাদের শাস্তি দেওয়া। এরপর আবার একবার এনকাউন্টারের হুঁশিয়ারি শোনা গেল তাঁর মুখে।
যদিও বামেরা প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি বিচার ব্যবস্থার প্রতি সুকান্তবাবুদের আস্থা নেই? আইনের প্রতি আস্থা হারিয়ে কি এনকাউন্টারের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তিনি বারবার। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে, পুলিশি অত্যাচার থেকে বাঁচার আশা জোগাতে আগামী দিনে বিজেপি সরকারের দাবাং চরিত্রের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন সুকান্ত মজুমদার।