ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, নাগরিকত্বের প্রমাণ হলে চাকরির ভেরিফিকেশনে পুলিশ কেন ৭১ সালের আগের দলিল দেখতে চায়? প্রশ্ন বিজেপি নেতার

স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি: নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার শিমুরালী স্টেশন থেকে রানাঘাট স্টেশন পর্যন্ত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে ট্রেন পথে এক অভিনব প্রচারে নামল বিজেপি। নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির যুব সভাপতি ভাস্কর ঘোষ এই অভিনব প্রচারে উপস্থিত থেকে বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন হল নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। তাই আমরা আজ শিমুরালি স্টেশন থেকে ট্রেন কম্পার্টমেন্টে উঠেছি এবং রানাঘাট পর্যন্ত বিভিন্ন কম্পার্টমেন্ট বদল করে সাধারণ মানুষের কাছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে লিফলেট বিলি করছি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভুলভ্রান্তির বিরুদ্ধে প্রচার করছি।

তিনি বলেন, এই বইয়ে নাগরিকত্ব আইনটা কি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে কতটা উপকার হতে চলেছে মানুষ এই বিষয়ে বিস্তারিত লেখা রয়েছে। এরপর তিনি বলেন পূর্ব পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, এবং পাকিস্তান থেকে অত্যাচারিত হয়ে আমরা যখন এবার বাংলায় বসতি স্থাপন করেছিলাম আমরা তখন প্রত্যেকেই ছিলাম উদ্বাস্তু প্রত্যেকে ছিলাম শরণার্থী। প্রসঙ্গত, আমরা কোন উপায়ে বাংলা থেকে এসেছিলাম? আমরা আমাদের বাড়ির মা বোনেদের ইজ্জত রক্ষা করতে পারছিলাম না, আমাদের বাড়ির বউদের ইজ্জত রক্ষা করতে পারছিলাম না, তাই ওপার বাংলা থেকে মায়ের ইজ্জত সম্মান রক্ষার জন্য নিজের ধর্মকে রক্ষা করবার জন্য রাতের অন্ধকারে তার কাঁটার বেড়া টপকে এপার বাংলায় এসেছিলাম নিজেকে রক্ষা করবার জন্য মায়ের ইজ্জত রক্ষা করবার জন্য। কিন্তু এপার বাংলায় আমরা নাগরিকের সম্মান পাইনি, আমরা উদ্বাস্তু শরণার্থী হয়ে এতদিন বেঁচেছি। তাই এখন যখন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হয়েছে তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নাগরিকদের কাছে পৌঁছে বোঝাতে চাইছে আমাদের ভোটার আইকার্ড আছে, রেশন কার্ড আছে, আমাদের আধার কার্ড আছে তবুও কেন আমরা নাগরিক নই? তাহলে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, রেশন কার্ড তর্কের খাতিরে যদি আমরা মেনেনি নাগরিকত্বের পরিচয় প্রদান করে তাহলে স্থানীয় থানায় পাসপোর্ট করতে গেলে বা চাকরির ভেরিফিকেশন করতে গেলে ডিআইবি কেন ৭১ সালের দলিল দেখতে চায়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *