আমাদের ভারত, ১৬ এপ্রিল: ওয়াকফ সংশোধনী আইন মুসলিম স্বার্থ বিরোধী বলে অভিযোগ তুলে বড়সড় আন্দোলন শুরু করেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ। বিক্ষোভ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। এই বিরোধিতার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। চলছে শুনানি। যুক্তি, পাল্টা যুক্তির মাঝেই বড়সড় উদ্বেগের কথা শোনা গেল খোদ প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার গলায়। মূলত ওয়াকফ বাই ইউজার বা ভোগ দখলে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে সত্যিই যে আশঙ্কার জায়গা রয়েছে তা মেনে নিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এদিন ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মামলাকারীদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি ও কপিল সিব্বলের একাধিক যুক্তি খন্ডন করেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের সামনে মামলাকারীদের কৌশলী সিংভি বলেন, নতুন আইনে ওয়াকফ বাই ইউজার বিলুপ্ত করা হয়েছে। এর ফলে বহু সম্পত্তি বেদখল হয়ে যেতে পারে। তাকে মাঝপথে থামিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, যদিও আপনার বক্তব্য মাঝপথে থামাতে চাই না, কিন্তু বিষয়টি নিয়ে যে উদ্বেগ রয়েছে তা সত্যি। আমরা শুনলাম দিল্লি হাইকোর্ট নাকি ওয়াকফে জমিতে তৈরি। আমরা বলছি না সব ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটেছে, কিন্তু বাস্তবে এটা নিয়ে উদ্বেগের কারণ রয়েছে।
নয়া ওয়াকফ আইনে কেন্দ্রের বিরোধিতায় শীর্ষ আদালতে মামলা করেছে একাধিক রাজনৈতিক দল। আসাদুদ্দিন, ওয়েসির মিম বাদে তৃণমূল, সিপিআই, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি ও ইন্ডিয়ান মুসলিম লীগ সহ একাধিক দল রয়েছে তার মধ্যে। প্রায় প্রতিটি মামলার মূল বক্তব্যই নতুন আইন মুসলিম স্বার্থ বিরোধী এবং তাদের মৌলিক অধিকারে আঘাত করতে চলেছে। তাই এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে।
গত ৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি ওয়াকফ আইনে সই করে দেওয়ার পর থেকে প্রতিবাদে সুর চড়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এবং একাধিক হাইকোর্টে কেন্দ্রীয় সরকার এই ইস্যুতে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছে। যাতে আদালত একপক্ষের বক্তব্য শুনে রায় না দেয়। বিরোধী দল ও মুসলিম সংগঠনগুলির দাবি, নয়া ওয়াকফ আইনে ওয়াকফ বোর্ড অফ কাউন্সিলে অমুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে কেন্দ্র সরকার ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে।