আমাদের ভারত, ৫ এপ্রিল: দিলীপ ঘোষের সঙ্গে রাজনীতি করতে হলে মাঠে নামতে হবে। কটু কথা বলা এখন বাংলার ট্রেন্ড। আমি তো মুখ্যমন্ত্রীকেই ফলো করি। এভাবেই একাধিক ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দলকে তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
প্রত্যেক ভোটের আগে লাইম লাইটে আসার জন্য কটু কথা বলেন দিলীপ ঘোষ। কলকাতায় থাকেন না, কলকাতায় এলে মর্নিং ওয়াকের পর এই ধরণের কথা বলে রাজনীতির ময়দানে প্রচারে আসেন। এর উত্তরে বর্ধমান- দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন, যারা কলকাতার বাইরে যায় না, তারা রাজনীতির কী বোঝে? যারা বলছে তারা একটু বাইরে বেরিয়ে দেখুক রোদে এমন চেহারা হবে বাড়ির বউ চিনতে পারবে না।
প্রচারে আসার জন্যই কি এইরকম বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি? জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যেটা বলছেন আমি তো ওনাকে ফলো করি। বড়লোকদের ফলো করি। সংস্কৃতে একটা কথা আছে মহাজন যেনো গতস্য পন্থা। উনি( মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ) নিজে ওনার পার্টির নেতা-মন্ত্রী আগে যারা নেতা ছিল তাদের কমেন্টগুলো শুনুন। বাংলায় এটাই ট্রেন্ড, এটাই লোকে সহজে বোঝে। ওনারা যে এগুলো হজম করতে পারবেন না, ওদের যে হজম শক্তি এত কম এটা আমি জানতাম না। তার আরও সংযোজন, অনেকে সারা বছর স্টেটমেন্ট দেয়। আমি একবার দিলে তাদের বারবার হয়ে যায়। আমি প্রেস মিট করি না, আমি ডিবেট শোতে যাই না। দিলীপ ঘোষ কী রাজনীতি করে এটা বাংলার মানুষ জানে ওরা আসুক দেখা যাবে কাকে লোক দেখতে বেরোয়।”
ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হননি নৌশাদ সিদ্দিকী। দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেন, এসব সেটিং। শুধু ডায়লগ। লোকে এখন এদিক ওদিক তাকাচ্ছে না। গো স্ট্রেট, গো ফর বিজেপি।
বৃহস্পতিবার কোচবিহারে সভায় মমতা বলেন, উনি নিজে সব জায়গার মুখ। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ওর মুখ মানে তো সন্দেশখালি। কেউ তো দেখতে চায় না ওর মুখ। তাই ব্যান্ডেজ বেঁধে এদিক সেদিক ঘুরতে হয়। আমিও ছবি দেখে চিনতে পারছি না। এটা পুরনো ছবি না নতুন ছবি। উনিও বুঝেছেন ছবি পাল্টাতে হবে। এই ছবি দিয়ে আর চলছে না। দেখা যাক ভোটের আগে আর কী কী হয়।”
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আপত্তি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুক্রবার এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি বলেছিলেন জিএসটি করতে দেব না। শেষে মেনে নিলেন দেখলেন লাভ পাচ্ছেন। উনি বলেছিলেন সিএএ করতে দেব না। এরকম উনি বলেন। ওর সরকারটাই ভালো করে চালাতে পারে না। মানুষ আজকাল ওর কথা সিরিয়াসলি নেয় না। গ্যারান্টি মোদী দেবেন। মোদীর গ্যারান্টিতে এখন দেশ চলছে।
রাজ্যপাল বোস বনাম ব্রাত্য বসু নিয়েও মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “মজার ব্যাপার, এরা রাজ্যপালকে নির্বাচন কমিশনকে গালাগাল দেবে। ওগুলো নাকি বিজেপি অফিস। ঠেলায় পড়লে সকাল বিকেল এরা কাকা বা মেসোর বাড়ি দৌড়োবে। রাজ্যপালের সঙ্গে ভাব করলেন, অ- আ- ক- খ শেখালেন, তারপর আবার সেটা মাটি হয়ে গেল। আবার সেটিং করলেন গিয়ে চা খেলেন। আবার কি হলো? আসলে আপনারা এমন লোক যে আপনাদের সঙ্গে কোনো ভদ্রলোক বেশিদিন থাকতে পারে না। রোজ ঝগড়া হবে আর ঠেলায় পড়লে দৌড়াবেন এটাই দেখে আসছি আমরা।”