সুশান্ত ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৪ জানুয়ারি: পশ্চিমবঙ্গে ২১ এর নির্বাচন যত সামনে আসছে ততই দল পরিবর্তনের ঘটনা তীব্র হচ্ছে। বাংলায় ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেসকে ঝটকা দিয়ে আবারও তৃণমূল ও সিপিএম ছেড়ে ১০০ জন বিজেপিতে যোগ দিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়।
বনগাঁয় ফের ভাঙন তৃণমূলে। বঙ্গ বিজেপিতে যোগদান অব্যাহত। একদা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত বনগাঁ শহর। একাধিক ইতিহাসের সাক্ষী। যদিও পরিবর্তনের পর বনগাঁয় ধীরে ধীরে সাংগঠনিক শক্তি মজবুত হয় শাসকদল তৃণমূলের। এবার সেই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতেই থাবা বসাল বিজেপি। এদিন ২১শের ডাক দিয়ে বনগাঁর সাংগঠনিক জেলার বনগাঁ উত্তর পৌরমন্ডলের পক্ষ থেকে বনগাঁ অভিযান মোড় সংলগ্ন একটি কমিউনিটি হলে সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। সেখানে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় বনগাঁর সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতি মনস্পতি দেবকে৷ আর সেই অনুষ্ঠানে তৃণমূল ও সিপিএমের ১০০জন কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেন। বিজেপি নেতা শোভন বৈদ্যের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল ও সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন কর্মী সমর্থকরা। এরপর তৃণমূল ছেড়ে চলে আসা কর্মীদের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মনস্পতি দেব ও বনগাঁ উত্তর মণ্ডলের সভাপতি শোভন বৈদ্য।
বিজেপিতে যোগ দিয়েই বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, আমরা দীর্ঘ বছর ধরে দল করে আসছি। কিন্তু দলে থেকে কোনও সম্মান দেওয়া হচ্ছে না বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। দিনের পর দিন নেতাদের তোলাবাজি দুর্নীতি ও খারাপ ব্যবহারে ক্ষুব্ধ। এই বিষয়ে উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ দল ছেড়ে আসা কর্মীদের। আর সেই কারণে বাধ্য হয়েই বিজেপিতে যোগ দেওয়া বলে জানিয়েছেন দল ছেড়ে আসা কর্মীদের। তাঁরা জানিয়েছেন, বিজেপি দলে থেকে সক্রিয় ভাবে কাজ করব।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা শোভনবাবু বলেন, বনগাঁর তৃণমূল নেতাদের অত্যাচার, তোলাবাজি, জুলুমবাজিতে এলাকার মানুষ তৃণমূলকে আর চাইছে না। যেভাবে নরেন্দ্র মোদী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সেই দেখে তৃণমূল ছেড়ে এখন দলে দলে মানুষ বিজেপিতে যোগদান করছে। যদিও তৃণমূলের তরফে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।