পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ১১ সেপ্টেম্বর: সুবর্ণরেখা নদী থেকে উদ্ধার হল বিশাল আকৃতির পাহাড়িয়া অজগর সাপ। এই সাপ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে হৈচৈ পড়ে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বনদপ্তরের কর্মীরা। তারা অজগর সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর থানার অন্তর্গত টিকায়েতপুর গ্রামের বাসিন্দারা সুবর্ণরেখা নদী থেকে উদ্ধার করে অজগর সাপটি। এদিন সকালে গ্রামবাসীরা সুবর্ণরেখা নদীতে বিশাল আকৃতির অজগর সাপটিকে দেখতে পায়। খবর দেওয়া হয় গোপীবল্লভপুর রেঞ্জের কমলশোল বিটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন দফতরের কর্মীরা। ততক্ষণে অজগর সাপ দেখার জন্য ভিড় জমে যায় বহু মানুষের। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অজগর সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বনদপ্তরের কর্মীরা। আরো জানা গিয়েছে, কেবলমাত্র প্রতিবছর বর্ষার সময় সুবর্ণরেখা নদী থেকে অজগর সাপ উদ্ধারের খবর শোনা যায়। কিন্তু সারা বছর সুবর্ণরেখা নদীতে কোনো অজগর সাপের দেখা মেলে না।
এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলার সাপ বিশেষজ্ঞ নামে পরিচিত গৌতম পান্ডা বলেন, “সুবর্ণরেখা নদীর উৎপত্তিস্থল হল ঝাড়খন্ড রাজ্য। ঝাড়খন্ডে বড় বড় পাহাড় রয়েছে। আর সেই পাহাড়ের উপর দিয়ে সুবর্ণরেখা নদী গোপীবল্লভপুর, সাঁকরাইল, নয়াগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে গিয়ে পড়েছে বঙ্গোপসাগরে। অজগর সাপ পাহাড়ি এলাকার পাথরে থাকতে বেশি পছন্দ করে। প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে সেই পাহাড়িয়া অজগর সাপ সুবর্ণরেখা নদীতে ভেসে চলে আসে গোপীবল্লভপুরের মত সমতল এলাকায়”।
টিকায়েতপুর গ্রামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সারা বছর সুবর্ণরেখা নদীতে অজগর সাপ দেখতে পাই না। কিন্তু প্রতি বছর বর্ষাকাল এলে মাঝে মধ্যেই অজগর সাপ দেখতে পাওয়া যায়”।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া অজগর সাপটি প্রায় ১০ ফুট লম্বা। উদ্ধারের পর নিরাপদ জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় অজগর সাপটিকে।