Hemant Vishwa Sharma, মুসলিম- খ্রিস্টান নয়, বাম ও উদারপন্থীদের জন্যই বিপদে হিন্দুরা, দাবি হিমন্ত বিশ্ব শর্মার

আমাদের ভারত, ৩ মার্চ: মুসলিম বা খ্রিস্টানদের কাছ থেকে নয়, বরং বাম উদারপন্থীদের জন্য বিপদে রয়েছে হিন্দুরা, এমনটাই দাবি করেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। একই সঙ্গে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা দাগলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

তিনি বলেন, আমি কিছু লোকের বক্তব্য শুনেছি। তারা মনে করেন যে ভারতবর্ষের সূচনা হয়েছিল, যখন আমরা সংবিধান গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু মোটেও তা নয়। ভারত পাঁচ হাজার বছরের পুরনো একটি সভ্যতা। হিন্দু ধর্ম ধ্বংস করার শপথ নেওয়া ঔরঙ্গজেবও হিন্দুধর্ম ধ্বংস করতে পারেনি। কিন্তু তিনি নিজে শেষ হয়ে গেলেন। তাই যদি রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন যে হিন্দুরা নির্মূল হয়ে যাবে, তাহলে আমি বলব যে আপনাদের নির্মূল করা হবে, কিন্তু হিন্দু ধর্ম কখনোই নির্মূল হবে না।

বাম লিবারেলদের নিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ধীরে ধীরে বামপন্থী এবং উদার পন্থী মানুষরা এই দেশটিকে ঘিরে ফেলেছিল। তারপর এমন লোকেরা পদ্মশ্রী পেল যারা বিশেষ করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে কথা বলতো। ২০১৪ সাল পর্যন্ত মনে হয়েছিল যে দেশ ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। অনেক কেলেঙ্কারি ঘটেছে। হিন্দুদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। বলা হয়েছে, হিন্দুদের কথা না বলতে। ধর্মনিরপেক্ষ কথা বলতে। দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, দেশের সম্পদের উপর সংখ্যালঘুদের প্রথম অধিকার থাকবে। কিন্তু যদা যদা হি ধর্মস্য এবং মোদী আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমি বিশ্বাস করি না যে মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের কাছ থেকে বিপদ রয়েছে হিন্দুরা। আমি কখনোই এটা বিশ্বাস করি না। আসলে এই দুই ধর্মই ভারতে সংখ্যালঘু। বরং আমাদের নিজস্ব সমাজের মানুষের জন্য হিন্দুরা বিপদের মধ্যে রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় বিপদ বামপন্থী এবং উদার পন্থী মানুষ। তার কারণেই হিন্দুরা আজ বিপদে।

তিনি বলেন, বাংলার অবস্থা হলো এখানে হিন্দুরা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরাধিকার হিসেবে এটি পেয়েছেন। কিন্তু বামপন্থী এবং উদারপন্থীরা এর জন্য দায়ী এবং আজ মমতা সেই উত্তরাধিকারের ফল পাচ্ছেন। আমি তাঁর প্রতি সহানুভূতিশীল। আপনি হিন্দুদের গরুর মাংস খেতে শিখিয়েছেন, কিন্তু আপনি ভুলে গিয়েছেন যে আপনাদের পূর্বপুরুষরা যদি গরুর দুধ না পান করতেন তাহলে আমরা আজ জন্মগ্রহণ করতাম না। আমি সব সময় বিশ্বাস করি যে যতদিন ভারতে হিন্দুরা নিরাপদ থাকবে ততদিন অন্যান্য ধর্ম নিরাপদে থাকবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, সংখ্যালঘুরা আজ তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক। আজ যখন আমাদের দেশের মুসলিমরা ভোট দেন তারা কি ভাবেন, যে ভোটে দাঁড়ানো ব্যক্তিটি তাদের কাছের কিনা বা তারা চেনেন কিনা। তারা জানে কাকে ভোট দিতে হবে। আমি তাদের দোষ দেব না এবং তারা বড় সংখ্যায় ভোট দেন। এমনকি যদি তাদের বাড়িতে কোনো মৃত ব্যক্তি থাকেন তার নামেও ভোট দেন।

তিনি আরো বলেন, আমি জানি আমাদের ধর্ম কে রক্ষা করবে, আমি জানি কে আমাদের দেশ রক্ষা করবে। আজ আমাদের কিছু করার দরকার নেই যদি হিন্দু সমাজ ঐক্যবদ্ধ থাকে।

অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো মুসলিম ভারতের ইতিহাসের বই পরিবর্তন করতে পারেনি। জেএনইউতে বসে রমিলা থাপারের মত একজন ব্যক্তি আমাদের গৌরবময় ইতিহাস বিকৃত করেছেন। যারা আমাদের সমাজ ও দেশকে ধ্বংস করেছে তারা আর কেউ নয় তারা হিন্দু। তিনি আহ্বান করেছেন, আমাদের এমন একটি সমাজ তৈরি করা উচিত যেখানে ভবিষ্যতে কোনো বামপন্থী বা উদারপন্থী জন্মগ্রহণ করবে না। এই কারণে আমি বলি যে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ হই তাহলে কোনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের সামনে দাঁড়াতে পারবেন না।

তিনি আরো বলেন, নরেন্দ্র মোদী, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এমন একটি সময়ে এসেছে যখন মনে হয়েছে যে সব বাধা শেষ হতে চলেছে। তিন তালাক শেষ হয়ে গিয়েছে এবং এখন আমাদের দেশে ইউসিসি আসার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *