পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ২৯ এপ্রিল: দিঘায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে স্থাপিত জগন্নাথধাম মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠার প্রাক্কালে মহাযজ্ঞে উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছার বার্তা দিল পশ্চিমবঙ্গ অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য কমিটির সদস্যরা। রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী আমন্ত্রিত অতিথিদের মূল মঞ্চে উপস্থিত থেকে সমগ্র বিষয়টিকে সনাতনের জয় এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নেওয়া একটি শুভ উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক সরকারি টাকায় দিঘায় জগন্নাথধাম স্থাপনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ডক্টর গোস্বামীর বক্তব্য, সারা পৃথিবীতে ধর্ম নিয়ে যখন এত রক্তপাত ও হানাহানি তখন একমাত্র সনাতনী হিন্দু ধর্মই পারে সারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে। কারণ যুগ যুগ ধরে একমাত্র হিন্দু সংস্কৃতিই সারা পৃথিবীকে শিখিয়েছে “বসুধৈব কুটুম্বকম” অর্থাৎ সমগ্র বিশ্ববাসী একটি পরিবার। ফলে ভারতবর্ষে সরকারি টাকায় মন্দির স্থাপনের বিষয়ে হিন্দু মহাসভার কোনো আপত্তি নেই, কারণ সরকারি টাকায় অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষ সাবসিডি পেয়ে যদি নিজেদের তীর্থক্ষেত্রে যেতে পারেন তাহলে সনাতনী হিন্দুদের বেলায় সমস্যা কোথায়? তাছাড়া ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলে সংখ্যালঘু ও সংখ্যাগুরুর বিভাজন করাটাও এক অর্থে সাম্প্রদায়িকতার নামান্তর। দিঘায় জগন্নাথধাম স্থাপনের ফলে সমগ্র অঞ্চলে বিকল্প অর্থনীতির মাধ্যমে অঞ্চলের মানুষদের অর্থনৈতিক বিকাশ এবং রুজিরুটির সংস্থান হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের দেখানো পথে ভারতের সব রাজ্যেই এইভাবে সরকারি উদ্যোগে বড় বড় মন্দির গড়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী।
আজ দিঘার জগন্নাথধামের মহাযজ্ঞের অনুষ্ঠানে মূল মঞ্চে সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী ছাড়াও অফিস সেক্রেটারি অনামিকা মন্ডল, সুব্রত চক্রবর্তী, কৃষ্ণানন্দ রায়, সঞ্জয় মান্না সহ বেশ কয়েকজন রাজ্য কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।