পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৯ এপ্রিল: চৈত্র মাসে বিয়ের লগন না থাকার কারণ জলের দরে বিক্রি হচ্ছিল ফুল। রং-বেরঙের বিভিন্ন ফুল ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছিল ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীরা। বাংলা নববর্ষে সেই ফুলের দাম খানেকটা বাড়তে শুরু করে। এরপর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন এবং অক্ষয় তৃতীয়ার কারণে ফুলের দাম খানিকটা বেড়েছে বলে জানালেন ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ীরা।
সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, গ্রীষ্মের মরশুমে এমনিতেই ফুলের বেশি ফলন হয়ে থাকে। চৈত্র মাসে সেই অর্থে বিয়ের লগন সহ বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের প্রাচুর্য না থাকায় ফুলের দাম একেবারে তলানিতে পৌঁছে গিয়েছিল। সম্প্রতি দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন ও অক্ষয় তৃতীয়ার জোড়া ফলার কারণে জেলার ফুল বাজারগুলি ছিল অনেকটা চাঙ্গা। কোলাঘাট, দেউলিয়া, পাঁশকুড়া সহ বিভিন্ন ফুলবাজারে আজ রজনীগন্ধা ১৩০ টাকা কেজি, দোপাটি ৪০ টাকা কেজি, গাঁদা ৩৫ টাকা কেজি, পদ্ম ৫০ টাকা পিস, বেল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি, গোলাপ ২ টাকা পিস দরে বিক্রি হয়েছে।
পাঁশকুড়ার ফুলচাষি গণেশ মাইতি, দেউলিয়ার ফুল ব্যবসায়ী অজিত মন্ডল, কোলাঘাটের ফুলচাষি বিশ্বজিৎ মান্নারা জানালেন, চৈত্র মাসে ফুল বিক্রি করে ফুল তোলার খরচটুকুও ওঠেনি। বাংলা নববর্ষের পর খানিকটা দাম বাড়তে শুরু করেছিল, বর্তমানে ফুলের বাজার খানিকটা চড়া হয়েছে। তবে জেলায় ফুল থেকে উপজাত সামগ্রী তৈরীর বন্দোবস্ত থাকলে যে সময় ফুল অবিক্রিত থাকে, সেই সময় লোকসানের মুখে পড়তে হতো না।