Mejia, workes, Presiding Officer, মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রুপ ডি কর্মীরা প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পেয়ে দুশ্চিন্তায়

আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১ এপ্রিল: প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পেয়ে দুশ্চিন্তায় মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের গ্রুপ ডি ও টেকনিক্যাল অ্যাসিট‍্যান্ট পদের কর্মীরা। এই সব কর্মীদের কেউ টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা অ্যাসিস্ট্যান্ট, কিন্তু অস্টম শ্রেণি পাশ বা মাধ্যমিক পাশ করতে পারেননি। আবার অনেকেই আছেন হিন্দি ভাষী। বাংলা লিখতে পড়তে জানেন না। অথচ এদেরকেই প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই সব কর্মীদের ভোট কর্মী হিসেবে নাম নথিভুক্ত করে আগামী ৬ ও ৭ এপ্রিল ট্রেনিং নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানেই গোল বেঁধেছে। কারণ এদেরকে প্রিসাইডিং অফিসারের ট্রেনিং নিতে বলেছে জেলা নির্বাচন দফতর।

ডিভিসির মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের ৩২৯ জন কর্মীর নাম ডিভিসির এমটিপিএস প্রকল্পে পাঠিয়েছে জেলা নির্বাচন কমিশন। মাঝে রবিবার ছুটি থাকায় কর্মীরা চুপ ছিলেন। সোমবার অফিস খুলতেই এই সব প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে আমন্ত্রণ পাওয়া ডিভিসি কর্মীরা প্রকল্পের প্রিন্সিপাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও প্রকল্প প্রধান সুশান্ত ষন্নিগ্রাহীকে ঘিরে ধরে তাদের সমস্যা তুলে ধরেন। প্রকল্প প্রধান তাদের কথা শুনে বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। তিনি বাঁকুড়ার জেলা শাসকের সঙ্গে কথা বলবেন। অনুরোধ করবেন আন্ডার গ্র্যাজুয়েটদের যেন প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই আশ্বাস পাওয়ার পর কর্মীরা নিজেদের কর্মস্থলে ফিরে যান।

অমিয় ঢাং, করুণা মন্ডল দু’ জনেই ৬০ শতাংশ শারীরিক ভাবে অক্ষম। তাদের দাবি, আমরা এই ৩২৯ জনই ভূমিহারা হিসেবে চাকরি পেয়েছি। এটাই আমাদের যোগ্যতা। তারা বলেন, একে তো পড়াশোনা কম জানি। তার উপর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কি করে নির্বাচনের এতবড় দায়িত্ব পালন করব। সৌমিত্র চট্টরাজ, নারান মাজি, সাধন মুখার্জি, ভগীরথ ঘোষ, দুলাল কিস্কুরা বলেন, আমরা সবাই অষ্টম শ্রেণি পাশ। ২০০৯ থেকে আমরা নির্বাচন কর্মী হিসেবে কাজ করছি। এবারও আমি নির্বাচনে কাজ করতে চাই। কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসার বা ফার্স্ট পোলিং অফিসারের কাজ করতে পারবো না। আমরা অন্যান্য নির্বাচনে যেভাবে কাজ করেছি এবারও সেকেন্ড, থার্ড বা ফোর্থ পোলিং পার্সেন হিসেবে অবলীলায় কাজ করবো।

কর্মী সংগঠনের যৌথমঞ্চের কর্তা অরিন্দম ব্যানার্জি, সমীর বাইন, সুমন গোস্বামীরা বলেন, আমাদের সংস্থায় দ্বিতীয় শ্রেণির অনেক কর্মী রয়েছে। তাদের প্রিসাইডিং অফিসার করে ভূমিহারা কর্মীদের রেহাই দেওয়া হোক। তা না হলে নির্বাচন পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটবে, যেটা কাম্য নয়।

চিফ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, প্রতিটি নির্বাচনে জেলা শাসক আমাদের কর্মীদের তালিকা চেয়ে পাঠান। সেইমত আমরা পাঠাই। সংশ্লিষ্ট দফতর কর্মীদের পে স্কেল দেখে পোলিং পার্সেন নির্বাচন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *