আমাদের ভারত,৬ মার্চ:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে। কিন্তু শুক্রবার দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যপাল জানালেন, তিনি নিজেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন। রাজ্যপাল হিসেবে বাংলার দায়িত্বভার নেওয়ার পর এই প্রথম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্যপাল। সাক্ষাৎ করে পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। একই সঙ্গে জানিয়েছেন সরকারি টাকা অপচয় হয়েছে।
এক ঘন্টা ধরে বৈঠক করেছেন দুজন। ওই বৈঠকে যাদবপুর-কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পাশাপাশি বাজেট বক্তৃতা বয়কটের অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। নিজেই সে কথা জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।
রাজ্যে সামনেই পুরভোট। ফলে এইসময়ে রাজ্যপালের এই আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত রিপোর্ট দেওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
রাজ্যপাল বলেন, এই সাক্ষাতের সুযোগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে রাজ্যের উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছি। বিভিন্ন ইস্যুতে ওঁর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি বলেন, “গত সাত মাসে আমি যা দেখেছি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাই জানিয়েছি। রাজ্যবাসীর মানবাধিকার খর্ব হচ্ছে এখানে। আমি নিজে এলাকায় গিয়ে সেই রিপোর্ট নিয়েছি। আমার উদ্বেগের কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি।”
রাজ্য বাজেট এর সময় তার বক্তৃতা বয়কটের অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল। এই বিষয়টিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে তিনি জানিয়েছেন। তার কথায়, ” এর আগে আমার পূর্বসূরীর বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে। আমার ক্ষেত্রে তা হয়নি। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যা বলার স্পিকার বলবেন। দেশের আর অন্য কোন রাজ্যে এমন ঘটনা ঘটেনি।”
আরোও একধাপ এগিয়ে রাজ্যের জনগণের টাকা অপব্যবহার হচ্ছে বলেও তোপ দেখেছেন তিনি। জগদীপ ধনকারের কথায়, শাসকদলের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য জনগণের অর্থের অপচয় করা হচ্ছে যা কাম্য নয়। বাংলার সব ভোটে অশান্তি হয় বলেও রিপোর্ট দিয়েছেন তিনি।
দায়িত্বভার গ্রহণ করে আসার পর থেকেই রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে রাজ্যপালের সম্পর্ক সহজ হয়নি। আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে তার মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে রাজ্য সরকারের সাথে। একাধিকবার রাজ্য সরকারের সমালোচনাও করেছেন তিনি। যার পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকের কি প্রতিক্রিয়া দেয় তৃণমূল কংগ্রেস তাই দেখার।