সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে পিতার জাতিগত পরিচয়ে মেয়েরা সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন, রায় আদালতের

আমাদের ভারত, ৫ ফেব্রুয়ারি: বিবাহিত হলে সরকারি চাকরির পরীক্ষার আবেদনে বাবা-মায়ের জাতিগত পরিচয় ব্যবহার করতে পারবেন মহিলারা। আর সেই মত সংরক্ষণের সুবিধাও তারা পাবেন। এমনই রায় দিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট।

এই বিষয় সংক্রান্ত একটি মামলায় বিচারপতি এন্ম নাগাপ্রসন্ন জানান, সরকারি চাকরির পরীক্ষার আবেদনপত্রে মহিলারা বাবা-মায়ের জাতির পরিচয় দিলে সেই অনুযায়ী সংরক্ষণের সুবিধার বিষয় বিবেচনা করতেই হবে সরকারকে।

সম্প্রতি কর্ণাটকের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেক বিবাহিত মহিলা সংরক্ষণের সুবিধা পেতে স্বামীর বদলে বাবা-মায়ের জাতির পরিচয় দেন। আর এই কারণেই আবেদনগুলি বাতিল করে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর। যেহেতু আবেদনকারীরা ইতিমধ্যে বিবাহিত তাই তাদের স্বামীর জাতি পরিচয় বিবেচনা করা হবে এই যুক্তিতে তারা আবেদন বাতিল করে। যদিও সরকারের এই যুক্তি মানতে চাননি মহিলা আবেদনকারীরা।

এরপরই তারা আদালতের দ্বারস্থ হন। বিবাহিত মহিলা চাকরি প্রার্থী কর্ণাটক হাইকোর্টের সরকারি সংরক্ষণ নীতির বিরুদ্ধে মামলা করেন। তারা প্রত্যেকেই বাবা-মায়ের জাতি পরিচয়ে ওবিসি সম্প্রদায়ের প্রার্থী। অন্যদিকে বিয়ের পর তারা সাধারণ প্রার্থী হয়েছেন। এই মামলায় মহিলা চাকরি প্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে আদালত। গত সপ্তাহে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে মামলাকারীদের সকলকে বিবাহ পূর্ব জাতি মোতাবেক সংরক্ষণের সুযোগ দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। তবে জাতিগত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর ইচ্ছার উপরে নির্ভর করছে। অর্থাৎ তারা মনে করলে নতুন জাতির পরিচয় ব্যবহার করতে পারে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।

কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টেও এই ধরনের মামলা উঠেছিল। সেই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি এখনো হয়নি। তবে মামলায় প্রশ্ন উঠেছে বিবাহিত মহিলাদের আত্মপরিচয় নিয়ে। বাবা মায়ের পরিচয় না স্বামীর পরিচয় কোনটি হবে তাদের আত্মপরিচয়? বিয়ের পর মহিলাদের পদবি বদল করাটাই বা কতটা যুক্তিযুক্ত?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *