লক ডাউনের মধ্যেই বালুরঘাটে বনকর্মীর মেয়ের জমায়েত করে অন্নপ্রাশন, চলল অফিস চত্বরেই ভুরিভোজ

আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ২৩ মার্চ: করোনার লক ডাউনের মধ্যেই ধুমধাম করে মেয়ের অন্নপ্রাশনে জমায়েত করে বিতর্কে এক সরকারি কর্মী। নিন্দার ঝড় জেলাজুড়ে। বালুরঘাট বনদপ্তর অফিস চত্বরেই চলল ওই ভুরিভোজের আয়োজন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট বনদপ্তরে কর্মরত ওই সরকারি কর্মীর এমন কর্মকান্ডে তুমুল আলোড়ন গোটা জেলাজুড়ে। করোনা নিয়ে গোটা জেলায় লকডাউন করার প্রস্তুতির মধ্যেই ওই সরকারি কর্মীর এমন কাজকর্মে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন ঘটনা কখনোই কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে।

জানা যায়, বালুরঘাট বনদপ্তরের কর্মী আশু কর্মকার তাঁর কোয়াটারে নিজের কন্যা সন্তানের অন্নপ্রাশনের আয়োজন করেন। রবিবার দিন ধার্য হলেও প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ‘জনতা কারফিউ’ ঘিরে একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয় ওই জমকালো অনুষ্ঠান। এদিকে করোনা পরিস্থিতি আরও জটিল হতেই গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তকে মান্যতা না দিয়েই এদিন শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে শহরের রঘুনাথপুর এলাকায় বনদপ্তরের অফিস চত্বরেই অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বেলা বাড়তেই ওই অফিস চত্বরে প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজন ছাড়াও গাড়িতে করে আসেন অনান্য সহকর্মীরাও। চলে প্রচুর মানুষের সমাগমের মধ্যে দিয়ে ভুরিভোজের আয়োজন। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক সচেতনতার বার্তার পরেও সরকারি আবাসনে খোদ বনদপ্তরের ওই কর্মীর এমন দায়ীত্বজ্ঞানহীন কর্মকান্ডে নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা জেলাজুড়ে।

এদিন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা এক নিমন্ত্রিত ব্যক্তি শশাঙ্ক শীল জানিয়েছেন, রবিবারের অনুষ্ঠান পিছিয়ে সোমবার করা হয়েছিল। এদিন তাঁরা বনদপ্তর অফিস চত্বরে চলা ওই অন্নপ্রাশনে যোগ দিতে এসেছেন।

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানিয়েছেন, এমন কাজ কখনই করা উচিত নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোথাও সাত জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। কেউ করে থাকলে তা একেবারেই ঠিক হয়নি।

বালুরঘাট বনদপ্তরের আধিকারিক আব্দুর রেজ্জাক জানিয়েছেন, বর্তমানে তিনি রায়গঞ্জে রয়েছেন। বিষয়টি জানতে পরেই এব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলেন। কিন্তু তারপরেও চললে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *