কানাডার কূটনীতিককে ৫ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ বিদেশ মন্ত্রকের, খালিস্থানি ইস্যুতে সরকারকে সমর্থন কংগ্রেসের

আমাদের ভারত, ১৯ সেপ্টেম্বর: কানাডার উচ্চপদস্থ কূটনীতিককে ৫ দিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে নির্দেশ দিল বিদেশ মন্ত্রক। বলা হয় দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ করেছে কানাডার কূটনীতিকরা। ভারত বিরোধী কাজের সঙ্গে তাদের যোগ রয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন তাই কানাডার কূটনীতিককে পাঁচ দিনের মধ্যে দেশে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। এই ক্ষেত্রে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেসও।

খালিস্থনিদের আশ্রয় দিয়েছে কানাডা সে দেশের ছত্রছায়ায় থেকে ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে খালিস্থানি জঙ্গিরা। কানাডার নেতারা দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে কেবল সমবেদনা প্রকাশ করছেন। কানাডাতে খুন মানব পাচার সহ একাধিক অপরাধ দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এই মন্তব্য করেই কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। তলব করা হয়েছে ভারতে নিযুক্ত কানাডা রাষ্ট্রদূতকেও।

সোমবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন কানাডার নাগরিক ও খালিস্থানি জঙ্গি নেতা হার্দিক সিং নিজ্জরের এর হত্যার পেছনে ভারতের ভূমিকা রয়েছে। আর তারপরই ভারতের শীর্ষ কূটনীতিকে সেদেশ থেকে বহিষ্কারের কথা সিদ্ধান্ত জানান কানাডার বিদেশ মন্ত্রী। তিনি দাবি করেন কানাডার সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে ভারত।

এই মন্তব্যের পরই কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বিবৃতি জারি করে বলা হয় কানাডার এই অভিযোগ অবাস্তব ও ভিত্তিহীন। ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশ মন্ত্রীর বক্তব্য খারিজ করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বিবৃতিতে কানাডার দিকে অভিযোগের তীর ছুড়েছে ভারত সরকার। সেখানে বলা হয়েছে খালিস্থানিদের কানাডায় আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। তারপরে ভারতের বিরুদ্ধে এমন মন্তব্য করে আসলে সে দেশের খালিস্থানি কার্যকলাপ থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে। এই ধরণের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোনদিনই পদক্ষেপ করেনি কানাডা সরকার । বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, কানাডার অভ্যন্তরে অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে ভারতের কোন যোগ নেই। এমনিতেই কানাডায় দীর্ঘদিন ধরে কোন মানব পাচারের মতো নানা অপরাধ হয়ে এসেছে। কানাডা সরকারের কাছে ভারতের অনুরোধ, তাদের দেশের মাটিতে বসে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ করা হোক।

কানাডা থেকে ভারতীয় কূটনীতিকে বহিষ্কারের পরেই সে দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকে সদর দপ্তরে। সেখানে জানানো হয় একাধিকারীকে পাঁচ দিনের মধ্যে দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

এই গোটা ঘটনায় কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস। দলের বর্ষীয়ান নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, দেশের স্বার্থ ও উদ্বেগের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নয়। প্রসঙ্গত এর আগে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধে কেন্দ্রের নীতির প্রশংসাও করেছিল কংগ্রেস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *