সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন পটাশপুরে, গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক সহ তিনজন

আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৪ জানুয়ারি:
সাড়ে পাঁচ বছরে শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করার পর প্রমাণ লোপাটের জন্য পুকুরের জলে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। এই নৃশংস ঘটনায় অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর জানাজানি হওয়ার পর উত্তেজিত মানুষজন অভিযুক্ত যুবককে গণপিটুনি দেয়। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার অমরপুর গ্রামের। পটাশপুর থানার পুলিশ উত্তেজিত এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযুক্ত যুবক শুভেন্দু ঘটম সহ তার বাবা ও মাকে আটক করে পটাশপুর থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শনিবার সকালে প্রতিবেশীর সাড়ে পাঁচ বছরের এক শিশু কন্যাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ফাঁকা এলাকায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত শুভেন্দু বলে শিশুটির পরিবারের অভিযোগ। শিশুকন্যাটিকে ধর্ষণের করে, প্রমাণ লোপাটের জন্য মেরে পুকুরে পুঁতে দেয়। দুপুর পর্যন্ত শিশুর খোঁজ না পেয়ে বাড়ির লোকেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজা খুঁজির পরে ঘটনার কথা জানতে পারা যায় এবং অভিযুক্তকে সন্দেহ করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই খুনের কথা বেরিয়ে আসে।

ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্ত যুবককে ধরে গণপিটুনি দেয় এলাকার মানুষ। খবর পেয়ে হাজির হয় পটাশপুর থানার পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। অভিযুক্ত যুবকের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয় প্রতিবেশী গ্রামবাসীরা। কোনওরকমে এলাকাবাসীদের বুঝিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। অভিযুক্ত যুবকের মা-বাবাকেও থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পাশাপাশি সাড়ে পাঁচ বছরের শিশুর মৃতদেহটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্ত যুবক শুভেন্দু ঘটম, বাবা কমল ঘটম ও মা কৃষ্ণা ঘটম কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ওই তিনজনকে। আজ কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে অভিযুক্ত তিন জনকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *