সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৯ ডিসেম্বর: অবশেষে খাঁচা বন্দি বাঘিনী জিনাত। আজ বিকেল চারটা নাগাদ বনকর্মীদের নজরে আসতেই ঘুম পাড়ানি গুলি চালানো হয়। আর তাতেই কাবু হয় জিনাত। বেহঁশ হয়ে পড়তেই তাকে খাঁচাবন্দি করে বনকর্মীরা। হাফ ছেড়ে বাঁচে বনদপ্তর থেকে রানীবাঁধের গোসাইডিহি ও সন্নিহিত এলাকার অধিবাসীরা।
গতকাল ভোরে পুরুলিয়ার পাহাড়ি জঙ্গল থেকে বাঁকুড়ার রানীবাঁধের গোসাইডিহি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। তারপর থেকে জিনাতকে বাগে আনতে একটানা প্রয়াস চালিয়ে যায় বনকর্মীরা। পদস্থ আধিকারিকরা ঘাঁটি গাড়েন এলাকায়। গতকাল রেডিও কলার ও ড্রোনের সাহায্যে বাঘিনীর অবস্থানে কড়া নজরদারি চালানো হয়।তাকে ধরতে বার বার নাকাল হতে হয় বনদপ্তরকে।
বনকর্মীদের লেন্সে জিনাতের দেখা মিলতেই গতকাল বিকেলে ঘুমপাড়ানি গুলি চালানো হলেও তার গায়ে লেগেছে কি না তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন সকলেই।আজ ভোরে বাঘের আওয়াজ ও ক্ষেতের মধ্যে পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে গোটা জঙ্গল জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। এর আগে গতকাল আরো ও দু’বার ঘুমপাড়ানি গুলি চালিয়েও কাবু করা যায়নি বাঘিনি জিনাতকে। একসময় যেন দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে তাকে ধরা। যখন বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে বন দফতরকে ঠিক তখনই তার দেখা মেলে। শনিবার ভোরে পুরুলিয়ার ডাঙ্গরডিহির জঙ্গল থেকে জিনাত কার্যত: বন দপ্তরকে নাস্তানাবুদ করে পালিয়ে এসে ঢুকে পড়ে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের গোঁসাইডিহির জঙ্গলে।
শনিবার বেলা দশটা থেকে তাকে বাগে আনার চেষ্টা চালায় বন দফতরে কর্মীরা। সারা দিন চেষ্টা চালিয়েও অধরা থাকে জিনাত। তাই রাতের অন্ধকার নামতেই ফের শুরু হয় জিনাতকে ধরার চেষ্টা। জাল দিয়ে ঘিরে রাখা জঙ্গলের চারিদিকে আগুন জ্বেলে দেওয়া হয়। এলাকার অধিবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।তাপররই মেলে সাফল্য।