আমাদের ভারত, ১ জুন: শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কন্যাকুমারীতে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়ালে তাঁর ৪৫ ঘন্টার ধ্যান শেষ করেছেন। এরপর তিনি তামিল সাধক কবি, দার্শনিক থিরুভাল্লুকে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন। ক্রজে করে গিয়ে তাঁর স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী মোদী সেখানে ভিজিটার্স বুকে একটি বার্তা লিখেছেন, তাঁর জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত জাতীর সেবায় নিবেদিত হবে। তিনি লিখেছেন, ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত কন্যাকুমারীতে অবস্থিত বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল পরিদর্শন করে আমি এক ঐশ্বরিক এবং অসাধারণ শক্তি অনুভব করছি। এই স্মৃতিসৌধে দেবী পার্বতী এবং স্বামী বিবেকানন্দ তাদের তপস্যা করেছিলেন। পরে একনাথ রানাডে ধ্যান করেছেন। স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তাধারাকে প্রতিষ্ঠিত করে জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। দীর্ঘ বার্তায় মোদী আরও লিখেছেন, “নবজাগরণের পথপ্রদর্শক স্বামী বিবেকানন্দ আমার অনুপ্রেরণা। আমার শক্তির উৎস এবং আমার অনুশীলনের ভিত্তি। সমগ্র দেশজুড়ে ভ্রমণ করার পর স্বামী বিবেকানন্দ এই স্থানে ধ্যান করেছিলেন। এখানেই তিনি এক নতুন দিক নির্দেশ লাভ করেছিলেন। আমার সৌভাগ্য যে আমি আজ এত বছর পর স্বামী বিবেকানন্দের মূল্যবোধ এবং আদর্শ মেনে যেমন তার স্বপ্নের ভারতকে রূপ দিচ্ছি, তেমনি এই পবিত্র স্থানে ধ্যান করার সুযোগ পেলাম। রক মেমোরিয়ালের এই অভিজ্ঞতা আমার জীবনের সবচেয়ে অবিশ্বাস্য মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি। মা ভারতীর পায়ের কাছে বসে আজ আমি আবারো আমার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করছি। আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত এবং আমার শরীরের প্রতিটি কণা সর্বদা উৎসর্গ করা হবে দেশের অগ্রগতি এবং তার জনগণের কল্যাণের জন্য, জাতীর সেবায়। আমি ভারত মাতাকে অসংখ্য বার প্রণাম করি।
শনিবার মোদী তাঁর ধ্যান শেষ করার পর সাদা পোশাকে বেরিয়ে আসেন। স্মৃতিসৌধের পাশে অবস্থিত সাধক থিরুভাল্লুর ১৩৩ ফুট মূর্তি পরিদর্শন করেন এবং শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে একটি বিশাল মালা পরিয়ে দেন।