(ছবি: অভিযোগকারী চাষি)
পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৮ জুলাই: কেশপুর ব্লকের জগন্নাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাগপাতা গ্রামে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের উদ্যোগে জমি দখলের অভিযোগ ঘিরে শোরগোল।
বাগপাতা গ্রামের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মনোরঞ্জন খাঁ- এর নেতৃত্বে প্রায় ১৫ থেকে ২০ বিঘা জমিতে চাষ করতে দেওয়া হয়নি স্থানীয় চাষিদের। পাশাপাশি প্রায় দু’ বিঘার বেশি জমিতে সেই জমির মালিককে চাষ করতে দেওয়া হয়নি, উল্টে জোর করে সেখানে চাষ করেছে মনোরঞ্জন খাঁর নেতৃত্বে কিছুজন। গত দু’দিন আগেই লাঠিসোঁটা নিয়ে জমি দখল করে ওই তৃণমূল নেতা।
কেশপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আর এই জমি দখলকে কেন্দ্র করে সেই গোষ্ঠী কোন্দলের ছবিটা আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এলো। বর্তমানে তৃণমূলের ব্লক সহ সভাপতি বিশ্বজিৎ বরদোলুই- এর অনুগামী বলে পরিচিত ওই পঞ্চায়েত সদস্য মনোরঞ্জন খাঁ। আর যাদের জমি দখল করা হয়েছে তারা ব্লক সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজার অনুগামী। এই জমি দখল নিয়ে ইতিমধ্যেই স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান থানায় অভিযোগ জানালেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় অবশেষে মেদিনীপুর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই জমির মালিকরা। কারণ চাষের মরশুমেও যদি চাষিরা চাষ না করতে পারে তাহলে সমস্যায় পড়তে হবে ওই ক্ষুদ্র চাষিদের।
যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য, যে বা যারা এই ধরনের কাজ করেছেন খুব অন্যায় করেছেন। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। চাষিদের অভিযোগ সঠিক। দোষীদের শাস্তি হোক আমরাও চাই।
এবার দেখার প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়। দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া হুঁশিয়ারির পরেও পঞ্চায়েত সদস্যের নেতৃত্বে জমি দখল স্থানীয় ক্ষুদ্র চাষিদের।
যদিও এই বিষয়ে কথা বলতে আমরা হাজির হয়েছিলাম মনোরঞ্জন খাঁ- এর বাড়িতে, কিন্তু তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ। পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্বরাও এই জমি দখলের বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।