পারুল খামারিয়া, বাঁকুড়া, ২৮ জুলাই: আজ বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ব্লকের বেলাকুঁড়ি গ্রামের শ্মশান কালী মন্দির প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করা হল ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’-এর অন্যতম সদস্য অসীমলাল মুখার্জির নেতৃত্বে। নিম, বট, অশত্থ, গামার, শিমূল, কৃষ্ণচূড়া, বকুল সব মিলিয়ে ৭০টা গাছ লাগানো হয়। এই কাজে সাহায্য করেন গ্রামবাসীরা।
এদিন সকাল থেকেই গাছ লাগানোর কাজে হাত লাগান দেশের মাটির সদস্যরা।কৌশিক ঘোষাল, সুমন ঘোষাল, পার্থ ঘোষাল, রাম রজক ও আরও অনেকে এগিয়ে আসেন গাছ লাগানোর কাজে।
প্রচন্ড গরমে কিছুদিন আগেই হাঁসফাস অবস্থা ছিল। সামাজিক মাধ্যমে গাছ লাগানোর জন্য প্রচার হচ্ছিল।দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির সে কাজ করে চলেছে প্রতিনিয়ত, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে।
গাছ লাগানো নিয়ে অসীমলাল মুখার্জি বলেন, “আমরা গাছ লাগিয়ে আমাদের গ্রাম তথা পশ্চিমবঙ্গকে সবুজ করে গড়ে তুলতে চাই। বিশ্ব উষ্ণায়ণ কমাতেই আমাদের দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির-এর পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির-এর প্রতিষ্ঠাতা মিলন খামারিয়া জানান, “আমরা এবছর ৭০০ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছি। ইতিমধ্যে আমরা ৪৫০টি বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো ও বিতরণের কাজ করেছি। গাছ বাঁচানোর জন্য আমরা বাড়িতে বাড়িতে বা ঘেরা অঞ্চলে গাছ লাগিয়েছি। কারণ গাছকে বাঁচাতে গেলে তার যথাযথ বেড়া দরকার। ‘আগে দিয়ে বেড়া তারপর ধরো গাছের গোড়া’। মানুষ নিজেরা আগ্রহী হয়ে গাছ না বাঁচালে গাছ বাঁচবে না। প্রতি বছর সরকারি উদ্যোগে অনেক গাছ লাগানো হয় কিন্তু বাঁচে কত গুলো? উত্তর নেই। কিন্তু দেশের মাটির সদস্যরা গাছ বাঁচানোর যথাযথ উদ্যোগ নেয়। তাই সাফল্য ৯৫% আসে। গতবছরও আমরা প্রায় ৪০০ গাছ লাগিয়েছি।”