আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৩০ ডিসেম্বর: ভুয়ো পুলিশ কর্মীর পরিচয় দিয়ে ট্রাক চালককে তুলে নিয়ে যাবার অভিযোগে গণপ্রহার উত্তর প্রদেশের যুবককে। বালুরঘাটের ঠাকুরপুরা এলাকায় উত্তেজনা। সোমবার এই ঘটনার পরেই এলাকায় পৌঁছে অভিযুক্ত যুবক নানুয়া শীলকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে পতিরাম ফাঁড়ির পুলিশ। ঘটনায় আটক করা হয়েছে ওই ট্রাক চালককেও।
পতিরাম ফাঁড়ির ওসি দেবব্রত মিশ্র জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে বুনিয়াদপুরের এক ট্রাক চালক পলাশ মন্ডলকে ঠাকুরপুরা এলাকা থেকে মোটর বাইকে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত ওই যুবক বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে তার পরিচয় জানতে চাইলে সে নিজেকে পাঞ্জাব পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। পুলিশ হিসাবে নিজের পরিচয়পত্র দাখিল করতে না পারায় সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্তকে গণপ্রহার দেন বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেয়ে বেশকিছু সিভিক ভলান্টিয়ার ছুটে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলেও তাদের সামনেও চলে মারধর। পরে এলাকায় ছুটে গিয়ে অভিযুক্ত যুবক ও ট্রাক চালককে আটক করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে পতিরাম ফাঁড়ির পুলিশ।
ট্রাক চালক পলাশ মন্ডল জানিয়েছেন, দুটি বিয়ে করার অভিযোগ দিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছিল ওই যুবক। যিনি নিজেকে পাঞ্জাব পুলিশ বলে পরিচয় দিচ্ছিলেন। স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে অভিযুক্তকে গণ প্রহার দিয়েছেন।
এলাকার বাসিন্দা রকি সরকার জানিয়েছেন, পাঞ্জাব পুলিশের পরিচয় দিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক। বর্তমানে সে নাকি হিলি থানায় চার্জে আছেন। এমন সব কথাবার্তা শুনতেই তার পরিচয়পত্র দেখতে চান সকলে।বাসিন্দাদের সন্দেহ হতেই গণপ্রহার দেওয়া হয় অভিযুক্তকে।