Sukanta, Dev, বন্ধু দেবকে বাড়িতে চায়ের নিমন্ত্রণ জানানোর পরেও, সুকান্ত স্পষ্ট করে দিলেন ঘাটাল আসন জয়ের জন্য যা করতে হয় সব করবেন

আমাদের ভারত, ২৫ এপ্রিল: তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের হয়ে প্রচারে এসে তৃণমূলের তারকা প্রচারক তথা ঘাটালের প্রার্থী দেব প্রধান প্রতিপক্ষ সুকান্ত মজুমদারকে শুভেচ্ছা জানান। এর পাল্টায় সুকান্ত মজুমদারও তাকে বাড়িতে চা-পানের আমন্ত্রণ জানালেন। কিন্তু এটাও মনে করিয়ে দিলেন রাজনীতির ময়দানে তারা একে অপরের প্রতিপক্ষ হবার কারণে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে জেতার জন্য তিনি সবকিছুই করবেন।

তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে এসে দলীয় সভা মঞ্চ থেকে ঘাটালের প্রার্থী তথা সুপার স্টার দেব সুকান্ত মজুমদারকে নিজের বন্ধু বলে দাবি করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যা নিয়ে মঙ্গলবার থেকেই নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে নিজের বন্ধু দাবি করার প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দেবকে এটুকুই বলবো আমার বাড়িতে এসো চা খেয়ে যাও। আজ পাঁচটা পর্যন্ত প্রচার, তারপরে আমার বাড়ি এসো। বন্ধুর বাড়িতে তো আসতে কোনো অসুবিধে নেই। দেব প্রকাশ্যে বলেছে ও আমার বন্ধু, হ্যাঁ নিশ্চয়ই ওর সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। সংসদে দেখা হলেই আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলি। একবার একসাথে চা খাওয়ার পরিকল্পনা হলেও বাস্তবে দু’জনেই ব্যস্ত থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। দেব ভালো ছেলে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি দাবি করেন, “আমার কাছে স্পষ্ট খবর আছে যে ওর ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা ছিল না, ওকে জোর করে ভয় দেখিয়ে দাঁড় করিয়েছে।”

সাংবাদিকরা বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে প্রশ্ন করেন, ঘাটলে বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার কি প্রচার করবেন যে দেবের ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা ছিল না। জোর করে ওকে দাঁড় করানো হয়েছে, ওর ইচ্ছেকে মান্যতা দিন। এই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ঘাটাল সিট জেতার জন্য যা যা করার দরকার, সুকান্ত মজুমদার সব করবে। “অর্থাৎ বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথা থেকে স্পষ্ট শাহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে তারা সর্বশক্তি দিয়ে ঝাপাঁবেন দক্ষিণবঙ্গেও।

এদিকে এসএসসির ২০১৬-র সমস্ত নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করেছে আদালত। এর ফলে বহু যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি গেছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এসএসসি’র যোগ্য প্রার্থী যারা চাকরি হারা হয়েছেন, তাদের আমরা আইনি সহযোগিতা করব। ব্যক্তিগত ভাবে কয়েকজন এই বিষয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাদেরকে আমরা বলেছি আপনারা অর্গানাইজেশন তৈরি করে আমার সাথে বসুন। তাদেরকে আমি আইনি সাহায্য করবো, কারণ আমি মনে করি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্যদের শিখন্ডি করলেন অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য। ৫ হাজারকে বাঁচানোর জন্য ২০ হাজারে চাকরি উনি জলে ফেলে দিলেন। তাদের পাশে আমরা আছি।” তিনি আরো বলেন, “যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছে তাদের চাকরি যাবে, এটা স্বাভাবিক, কিন্তু যারা যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি থাকা উচিত।” তাঁর দাবি, “যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছে তারা দোষী, কিন্তু তাদের থেকেও তারা বেশি দোষী যারা চাকরি বেচার ব্যবস্থা করেছে। আপনি চাকরি বেচার ব্যবস্থা করেছেন বলেই লোকে কিনেছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *