Elephant, Barajora, বড়জোড়ায় জঙ্গল লাগোয়া গ্ৰামে হাতিদের তান্ডব

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১০ ফেব্রুয়ারি: হাতি উপদ্রুত বাঁকুড়ায় জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম গুলিতে রাস্তায় রাস্তায় হুলা পার্টি মোতায়েন ও টহলদারি গাড়ি ঐরাবত ঘুরে বেড়াচ্ছে। বনদপ্তরের কড়া নজরদারি ব্যবস্থা সত্বেও হাতির হানা অব্যাহত বড়জোড়ার জঙ্গল লাগোয়া গ্ৰামগুলিতে। গতকাল রাতে ৫টি হাতির একটি দল তান্ডব চালায় বড়জোড়ার লালবাজার গ্রামে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গরিব পরিবারের একাধিক বাড়ি। নতুন বছর শুরু হতেই বড়জোড়াতেই ২ জনের প্রাণ কেড়েছে দাঁতাল বাহিনী। স্বভাবতই মানুষ বন কর্তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন।

লালবাজার গ্রামের বাসিন্দা মদন ঘোষের ভাষায়, বন কর্তারা অপদার্থ। তাদের জন্যই হাতি সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ নাগাদ গ্রামে হাতির আক্রমণ হওয়ার পরেই ১২টা নাগাদ রেঞ্জ অফিসে খবর দিয়েছি। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কেউ আসার প্রয়োজন মনে করেননি। গ্রামের সুখময় গোপ গরাইয়ের বাড়ি ও গোয়ালঘর ভেঙ্গে ধুলিস্মাৎ। বাচ্চা সহ একটি মোষ দেওয়াল চাপা পড়ে গুরতর জখম হয়েছে। সঞ্জয় ঘোষের বাড়ি ও পাঁচিল ভেঙ্গেছে।

হাতি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য সংগঠনের সভাপতি পূর্ণেন্দু সরকার বলেন, আজ শনিবার ডিএফও’র কাছে আমাদের ডেপুটেশন আছে। কারণ গত ৩-৪ মাস ধরে হাতির পাল তান্ডব চালাচ্ছে। ধান খেত মাড়িয়ে চাষিদের সর্বনাশ করেছে। এখন আলু, সর্ষে, গম, বোরো ধানের দফারফা তো করছেই। বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাঙৃগছে, প্রাণ কাড়ছে। এবার জোর আন্দোলন হবে।

বড়জোড়ার রেঞ্জ অফিসার ঋত্বিক দে বলেন, জঙ্গলের হাতি নিজের মর্জি মত চলে। আমাদের কড়া নজরদারিতে কিছুটা সংযত আছে। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরা নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ পাবেন। ক্ষতিগ্রস্তদের নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন করতে বলেছি। তিনি জানান, এই মুহূর্তে
বড়জোড়া রেঞ্জের বড়জোড়া-৪টি, দক্ষিণ সরাগড়া-২০টি, উত্তর সরাগড়ায় ২টি, জি.ঘাটি রেঞ্জের বড়জুড়ি জঙ্গলে ২টি, রাধানগর রেঞ্জের ইচ্ছারিয়ায় ১৪টি, বেলিয়াতোড়ের শালুকায় ২টি, কাঁটাবেসিয়ায় ২টি ও লাদুনিয়ায় ১৭টি এবং সোনামুখীর গোঁসাইবাঁধে ৫টি হাতি রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *