পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ১২ ডিসেম্বর : জঙ্গলমহল সাহিত্য উৎসবের সূচনা হলো ঝাড়গ্রামে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের সূচনা করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ঝাড়গ্রাম শহরের ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজ প্রাঙ্গনে ৩ দিনের জন্য অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই উৎসব।
জানা গিয়েছে, এই উৎসব থেকে ৪৯০ জন কবি ও সাহিত্যিককে সম্মান জ্ঞাপন করা হবে। কারা কাহিনী ২ সংস্করণের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং বিভূতিভূষণ রচনাবলী ৩ সংস্করণে উদ্বোধন করেন বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু, বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা, গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক ডাঃ খগেন্দ্রনাথ মাহাতো, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাপতির চিন্ময়ী মারান্ডি, ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক সুনীল আগারওয়াল, ঝাড়গ্রাম পৌরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ, ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের প্রিন্সিপাল দেবনারায়ণ রায় সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি অয়তাধীন পশ্চিমবঙ্গ নাট্য আকাদেমি, রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমি, রাজ্য চারুকলা আকাদেমি, নজরুল আকাদেমি, দলিত সাহিত্য আকাদেমি, লোকসস্কৃতি ও আদিবাদী সংস্কৃতি কেন্দ্রের সমস্ত ধরনের বইয়ের পাশাপাশি জঙ্গলমহলের সাঁওতালি ও কুড়মি কবি ও সাহিত্যিকদের বই পাওয়া যাচ্ছে এই উৎসবে। মূলত, কবি ও সাহিত্যিকদের উৎসাহ দেওয়ার জন্যই জঙ্গলমহলের বুকে এই উৎসবের সূচনা করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “রাজ্যের পাশাপাশি জঙ্গলমহলের কবি, সাহিত্যিকদের আরো উৎসাহ দিতে ঝাড়গ্রামের সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। জঙ্গলমহলের প্রাণের ভাষা সাঁওতালি ও কুড়মি ভাষাকে অধিক পরিমাণে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এখানে।”