পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৩ অক্টোবর: উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে দশেরা পালিত হলো রেলশহর খড়্গপুরে। শনিবার শহরের রাবণ-পোড়ার মাঠে উপস্থিত থেকে উৎসবের আনন্দে গা ভাসালেন কয়েক হাজার মানুষ। সকলের একটাই প্রার্থনা ছিল, অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির জয় হোক। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শনিবার দুপুর থেকেই মাঠের আশপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শেষমেশ অবশ্য নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে উৎসব-পর্ব।
প্রতি বছরই এই রাবণ-পোড়া উৎসবকে কেন্দ্র করে দশমীর দিন মাতোয়ারা হয় খড়্গপুর। গিরি ময়দান এলাকায় রয়েছে রাবণ-পোড়ার মাঠ। শনিবার দুপুরে থেকে জাতি-ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এখানেই জড়ো হন কয়েক হাজার মানুষ। এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা।
এই ব্যাপারে দশেরা উৎসব কমিটির সভাপতি তথা খড়্গপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার বলেন, “আমরা গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ ও গাইডলাইন মেনেই এই বাজির খেলার আয়োজন করেছি।
এবারে শতবর্ষে খড়্গপুরের দশেরা উৎসব কমিটি দর্শকদের জন্য একগুচ্ছ চমক ছিল। তার মধ্যে অন্যতম হল দশাননের পাশে রাখা হয়েছিল মেঘনাদ ও কুম্ভকর্ণের মূর্তি। এছাড়াও শব্দবিহীন পরিবেশ বান্ধব আতস বাজির আলোকমালা। উৎসবের বাজেট ছিল ১৩ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে রাবণ সহ মেঘনাদ ও কুম্ভকর্ণের মূর্তি তৈরি করতে খরচ হয়েছে পাঁচ লক্ষ টাকা। বাজির জন্য খরচ প্রায় ৫০ হাজার টাকা। মূলত বিভিন্ন রঙের হাওয়াই বাজি, রকেট ও তুবড়ি। এছাড়াও রং মশাল ছিল।
গত দুই বছর ধরে এই আতশ বাজির খেলা উল্লেখযোগ্য ভাবে সেরকম কিছু ছিল না। কিন্তু এবারে শতবর্ষ উপলক্ষে শব্দবিহীন আতশবাজির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রাবণ ও তাঁর ছেলে মেঘনাদ ও ভাই কুম্ভকর্ণের মূর্তিকে ঘিরে সাজানো ছিল আতশবাজির দণ্ড। সব মিলিয়ে আপামর সাধারণ মানুষ উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গেই দশেরা উৎসব পালন করেছেন।