আমাদের ভারত, ৩১ জানুয়ারি: কলকাতায় বাইপাসের ধারে তরুণীকে নৃশংস খুন। পশ্চিমবঙ্গ ক্রমশই মহিলাদের জন্য মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। নৃশংস খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায় রাজ্যের নারী সুরক্ষা শিকেয় উঠেছে। এভাবে চলতে থাকলে ঘরের মেয়েদের বাইরে বের করাই যাবে না।
পুলিশি তদন্তে এখনো পর্যন্ত যা জানাগেছে, বাইপাসের ধারে তরুণীকে নৃশংস ভাবে খুনের পেছনে সম্পর্কের টানা পোড়েন কাজ করেছে। তবে প্রকাশ্যে এই ভাবে এক তরুণীকে খুনের ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। রাজ্যে নারী সুরক্ষার বিষয়টি আবার চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সেই বিষয়টিকেই প্রাধান্য দিয়ে বলেন, “হাড় হিম করে দেওয়ার মতো ঘটনা। কলকাতার বাইপাস, মানে কলকাতার ঝাঁ চকচকে এলাকা। সেইখানে যদি একজন মেয়ের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটে, গলায় ছুরি মারা হয়, এটা চিন্তার বিষয়। এর পরে আমরা বাড়ির মেয়েদের বাইরে বের করতে পারবো না। মেডিকেল কলেজে ধর্ষণ হচ্ছে, কোথাও রাস্তায় মেয়েদের উপর ছুরি চালানো হচ্ছে। মেয়েরা পশ্চিমবঙ্গে সুরক্ষিত নয়।” তিনি আরো বলেন, খুন করার মোটিভ নিয়ে এই হামলা হয়েছে। মহিলারা পশ্চিমবঙ্গে একেবারেই সুরক্ষিত নয়। তাদের সম্মান, সম্ভ্রম এবং জীবন সুরক্ষিত নয়।”
একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ইস্যুতে সরব হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। তিনি লিখেছেন, ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করুন। মাঝরাতে এক যুবতীকে প্রকাশ্যে রাস্তায় ধাওয়া করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল, তবুও তাঁর নেতৃত্বে অদক্ষ কলকাতা পুলিশ তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে? সরকারি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকদের বিশ্রামাগারই হোক বা কলকাতার জনবহুল এলাকা, এই রাজ্য ক্রমশই মহিলাদের জন্য মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী যতই মিথ্যা দাবি করুক না কেন যে, কলকাতাকে সবচেয়ে নিরাপদ শহর, বাস্তবতা হলো এই যে তাঁর আমলে রাজ্যের মহিলারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।