অমরজিৎ দে, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ১৩ ডিসেম্বর: দুর্ঘটনা জনিত কারণে হাঁটু কিংবা কোমরের জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট প্রয়োজন হলেই সাধারণ পরিবারকে ছুটতে হত কোলকাতার বড় কোনো হাসপাতাল, বেসরকারি কোনো নার্সিংহোম, কিংবা অন্য রাজ্যে। এই সমস্ত চিকিৎসা নিতে গেলে রোগীর পরিবারের হয়রানির পাশাপাশি গুনতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা। যা প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের কাছে অসম্ভব ছিলো। আর এই অসম্ভবকে সম্ভব করলো নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। হাড়ের চিকিৎসার ক্ষেত্রে খুশির খবর শোনালো ঝাড়গ্রাম জেলার সীমান্ত লাগোয়া নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। এই হাসপাতালেই এখন পাওয়া যাচ্ছে হাঁটু ও কোমরের হাড় রিপ্লেসমেন্টের সুবিধা। সেরকম একটা সফল অস্ত্রোপচার করলো এই হাসপাতাল। প্রায় দেড় ঘণ্টা অপারেশনের পর এক রোগীর হিপ জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট করলেন নয়াগ্ৰাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকদের দল।
জানাগেছে, গত প্রায় এক মাস আগে জঙ্গলে পাতা সংগ্রহ করে বাড়ি ফেরার পথে সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভাঙ্গে ঝাড়েশ্বর মাঝি নামে বছর ৫৭- র এক ব্যক্তির। রোগীর বাড়ি নয়াগ্ৰাম ব্লকের মড়াপাদা গ্রামে। পরে তাকে নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসক ডক্টর শান্তনু পট্টনায়েকের কাছে এলে চিকিৎসা শুরুর পর জানা যায় রোগীর হিমোগ্লোবিনের সমস্যা রয়েছে। যার কারণে রক্ত দিয়ে রোগীর হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক করতে হবে। সেই মতো রোগীকে গত ৭ দিন আগে ভর্তি করে রক্ত দিয়ে স্বাভাবিক হতেই হাসপাতালের অ্যানাসথেসিয়া বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ শুভঙ্কর সামন্তের কাছে থেকে ফিট সার্টিফিকেট পাওয়ার পর হাসপাতালে হয় ঝাড়েশ্বর মাঝির কোমরের অপারেশন। সফল অস্ত্রোপচারের পর খুশি রোগীর পরিবার।
এ বিষয়ে নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সুপার ডাঃ দেবাশিষ মাহাত জানান, বর্তমান সরকারের সহায়তায় এখন প্রায় সমস্ত রকম চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকাতেও। বিশিষ্ট ডাক্তার এবং উন্নত পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারি তরফে। আর সেই কারণেই জটিল অস্ত্র প্রচার সহজেই হচ্ছে এখানে। নিখরচায় এর সুবিধা পাচ্ছেন জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ মানুষ।