আমাদের ভারত, ২০ জানুয়ারি: দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে কৃষক আন্দোলন। কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনায় বসলেও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। কিন্তু তার মাঝেই কৃষক আন্দোলনে ফাটলের চিহ্ন কি দেখা যাচ্ছে? এক কৃষক ইউনিয়নের নেতা অপর কৃষক ইউনিয়নের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের ঘটনাতে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে নিজেদের মধ্যে থাকা মতপার্থক্যকে মেটাতেও বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছেন তারা বলে জানা গেছে। কিন্তু সম্পূর্ণ ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সংযুক্ত কিষান মোর্চা শীর্ষ নেতারা।
জানা গেছে একটি দৈনিকের প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে ঘটনা শুরু। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে হরিয়ানার কৃষক সংগঠন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা গুরনাম সিং চারুনি রাজ্যের সরকার ফেলে দিতে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মধ্যপ্রদেশে কৃষকদের সংগঠন সর্ব হিন্দ রাষ্ট্রীয় কিষাণ মহাসঙ্ঘের নেতা শিবকুমার কাক্কাজি। আর সেই জন্য হারিয়ানা রাজনৈতিক দলের টিকিঠ তিনি পাবেন বলে দাবি করেছেন শিবকুমার। ওই দৈনিকের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হওয়া মন্তব্যের কথা শিবকুমার অস্বীকার করলেও তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চারুনি। এমনকি শিবকুমার কে আরএসএস এর এজেন্ট বলে বসেছেন তিনি।
আর দুই কৃষক নেতাকে নিয়ে এই বিতর্ক শুরু হতেই অস্বস্তিতে পড়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। বিভিন্ন কৃষক ইউনিয়ন গুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা। দুই নেতার মাঝে এই ধরনের কথা বিষয় ছাড়াও কংগ্রেস ও আপে সঙ্গে চারুনির বৈঠক নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। কারণ ওই দলগুলির সঙ্গে দেখা করেছেন চারুনি। তার দাবি ছিল আন্দোলনকে জোরদার করতে বৃহত্তর জোট প্রয়োজন।
এই বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে সচেষ্ট হয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা। এই ঘটনায় আন্দোলনের ভাবমূর্তি যাতে কালিমালিপ্ত না হয় সেজন্য উদ্যোগী হয়েছেন সংযুক্ত কিষান মোর্চা। তারা বিবৃতিতে বলেছে “যে কোন সংগঠন বা রাজনৈতিক দল আমাদের সমর্থন করতে পারেন। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করবে না সংযুক্ত কিষান মোর্চা।”
নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে শিবকুমার ভিডিও বার্তায় বলেন, চারুনিজি সম্পর্কে আমি কোন মন্তব্য করিনি। তিনি আমার বন্ধু।ঘটনায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে চারুনি বলেছেন সকলের নিজের মতামত ব্যক্ত করার অধিকার রয়েছে। কেন্দ্রের এই কালো আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি আমি পুরোপুরি নিবেদিতপ্রাণ।” তিনি দাবি করেছেন কোনো ভাবেই তিনি কৃষকদের আন্দোলনে ভাঙন ধরতে দেবেন না।