Rinku Majumdar, Srinjoy, দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয়ের মৃ*ত্যু, শোকস্তব্ধ নৈহাটির স্কুল পাড়া

আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৩ মে: দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয় দাশুগুপ্ত ওরফে প্রীতমের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ নৈহাটির বালিভাড়ার স্কুল পাড়া। আত্মীয় থেকে পরশিরা জানালেন প্রীতমের বেশ কিছু অজানা তথ্য।

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের প্রথম পক্ষের ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের ওরফে প্রীতমের রহস্যমৃত্যু হয়েছে। এদিন, মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনের শাপুরজির আবাসনের ই-ব্লকের ঘর থেকে তাঁর নিথর দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ওঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল সাতপাকে বাঁধা পড়েন দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদার। যদিও তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না সৃঞ্জয়। সৃঞ্জয় পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ছিলেন। সল্টলেকের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। এদিকে প্রীতমের মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের জেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিভাড়া স্কুল পাড়ায়। প্রীতমের জেঠু বিক্রমজিৎ দাশগুপ্ত সহ পাড়া প্রতিবেশীরা রিঙ্কু ও তার ছেলের স্মৃতি রোমন্থন করলেন।

তারা জানান, রিঙ্কুদেবী তার ছেলেকে নিয়ে নৈহাটিতে এই এলাকাতেই থাকতেন। বালিভারা এলাকার স্কুলেই পড়াশোনা করতেন প্রীতম। রিঙ্কু মজুমদার পাড়া প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের কাছে ছেলেকে রেখে কাজেও যেতেন। তবে পরবর্তীতে তারা নৈহাটি থেকে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু তবুও আগে মাঝে মধ্যেই এখানে প্রীতম আসতো। প্রীতমের জ্যেঠু কান্না ভেজা চোখে বলেন, “তবে অনেকদিন কেটে গিয়েছে ভাইপো বালিভাড়ায় আসেনি। শুনেছিলাম দু’মাস বাদে নাকি ওর বিয়ে হবে। শুনে সবাই খুশি হয়েছিলাম। হঠাৎ সব ওলট পালট হয়ে গেল। টিভির খবরে জানতে পারলাম ভাইপো মারা গিয়েছে। তাঁর আরো দাবি, কীভাবে প্রীতমের মৃত্যু হয়েছে সেটা তাদের অজানা। তবে ভাইপোর মৃত্যুর সত্য উদঘাটন হোক। কেউ জড়িত থাকলে শাস্তি পাক।

প্রীতমের অন্যান্য আত্মীয়দের দাবি, মায়ের সাথেই থাকতো প্রীতম। তাদের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ ছিলো না। কিন্তু বাকি যা ঘটনা ঘটেছে তারা সকল সংবাদ মাধ্যমের থেকেই জেনেছেন রিঙ্কু মজুমদারে বিয়ে নিয়ে কোনো কথা কখনো প্রীতমের সাথে তাদের হয়নি। তাই হঠাৎ করে কীভাবে এমন ঘটনা ঘটলো তাতে সবাই অবাক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *