পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ১৫ ফেব্রুয়ারি: ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানার শিলদায় ইএফআর জওয়ানদের ক্যাম্পে মাওবাদীদের নৃশংস হামলার ঘটনায় ২৪ জন ইএফআর জওয়ানের মৃত্যু হয়। শহিদ ওই ২৪ জন ইএফআর জওয়ানদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শিলদায় শহিদ স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি করা হয়। ওই জওয়ানদের স্মরণীয় করে রাখার জন্য সেখানে ২৪টি গাছ লাগানো হয়। তাই তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য প্রতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি শিলদায় ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শহিদ দিবস পালন করা হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার চেন্নাই শহিদ দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার, এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম, ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা, ঝাড়গ্রাম জেলার জেলাশাসক সুনীল কুমার আগরওয়াল, পুলিশ ও ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা।
ওই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডি জি রাজীব কুমার’কে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গান স্যালুট দিয়ে সম্মান জানানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ডিজি রাজীব কুমার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা শহিদ ২৪ জন ইএফআর জওয়ানের স্মৃতিতে তৈরি শহিদ স্মৃতি স্তম্ভতে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সেই সঙ্গে ডিজি রাজীব কুমার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ২৪টি গাছে জল দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে এলাকার দরিদ্র গ্রামবাসীদের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার বলেন, শহিদ ২৪ জন ইএফআর জওয়ানের পরিবারের পাশে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ছিল আছে এবং আগামী দিনেও থাকবে। ওই ২৪ জন জওয়ানের মৃত্যুর পর এই এলাকা থেকে মাওবাদীরা পালিয়েছে। এলাকায় বর্তমানে মাওবাদীরা নেই। জঙ্গলমহল শান্তিতে রয়েছে। আগামী দিনেও শান্তিতে থাকবে। তাই কর্মরত অবস্থায় মাওবাদী হামলায় ওই জওয়ানদের মৃত্যু আমাদের কাছে বেদনাদায়ক হলেও আমরা তাদের আজও ভুলে যাইনি।