কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ মে: কেশপুরের মা বোনদের আমি ধন্যবাদ জানাই, কেশপুরের আনন্দপুরে সভামঞ্চে উঠে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দেরিতে আসার জন্য তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে ক্ষমা চেয়ে নেন। কেশপুর সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেভাবে সিপিআইএম অত্যাচার করেছিল তাতে আমাদের অনেক কর্মী খুন হয়েছিল। দীপক অধিকারী তৃতীয়বার জেতার ৬ মাস পর আমরা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করবো বলে জানান অভিষেক। তিনি বলেন, এই ভোট শুধু বিজেপিকে পরাজিত করার নয়, যারা কথা দিয়ে কথা রাখেনি তাদের উৎখাতের ভোট। মাতৃশক্তি যাদের সাথে থাকে তাদের কেও হারাতে পারে না। যারা এই সভায় ৩ ঘণ্টা ধরে রোদকে উপেক্ষা করে বসে আছে তারা বিরোধীদের উৎখাত করবেই। দেব দিল্লিতে অনেক বার সরব হয়েছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। সন্দেশখালিতে বিজেপি টাকা দিয়ে মহিলাদেরকে ইজ্জত হানির কেস দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মানহানি করতে চেয়েছিল তাও ফাঁস হয়ে গিয়েছে। পাশাপশি এক বিজেপি নেত্রীর লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়ার অডিও ক্লিপ শোনান কেশপুরের মানুষকে।
কেশপুরের মানুষকে তিনি বললেন যতদিন, আমাদের ঘাটালে প্রতিনিধি থাকবে এবং আমাদের সরকার থাকবে লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবে। যখন আমি নব জোয়ার করতে পশ্চিম মেদিনীপুরে এসেছিলাম, তখন আমাকে মানুষ বলেছিল ৫০০ টাকায় আর সংসার চলছে না একটু বাড়াতে বলুন দিদিকে, তাই আমরা বাড়িয়ে দিয়েছি। কেশপুরে কিছু সিপিআইএম নেতা জার্সি পাল্টে বিজেপির পতাকার তলায় এসে কেশপুরের মানুষকে আবার সেই কালো দিন আনতে চাইছে, সেটা কোনো দিন আমি করতে দেবো না। কেশপুরের মানুষকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির প্রার্থীকে বলুন, ১০ বছরে ঘাটালে কতটা উন্নয়ন করেছে তারা। পাশাপশি কেশপুর দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা নাকি মাছ, ডিম আর মাংশ খাই বলেই আমরা হিন্দু নয় বলছে মোদী। আপনারা হাত তুলে বলুন, এটা কি ঠিক? আপনারা কি কেও এইসব খন না? যারা বিদ্যাসগরকে অপমান করে তাদের থেকে কি শিখতে হবে? বিদ্যাসাগর না থাকলে বিজেপি নেতারা তাদের নাম কিভাবে লিখতো। আগামী দিনে দিদি বাংলার মানুষের মাথার ওপর ছাদ করে দেবে এটা দিদির গ্যারান্টি। আর মোদীর গ্যারান্টি তো ভাঁওতাবাজি।
অভিষেক বলে, কোভিডের সময় দেব যেভাবে আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে করে এই ছেলেটাকে জেতাতেই হবে। আজ ১৯ তারিখ কেশপুরে খুঁটি পুজোটা করে দিয়ে গেলাম, ২৫ তারিখ পুজো শুরু আর ৪ তারিখ বিশ্বর্জনটা করতে হবে। ১ নং বোতাম টিপে কেশপুর থেকে দীপক অধিকারীকে ১ লক্ষেও বেশি ভোটে জেতাতে হবে। আজ যারা বিজেপির জার্সি পরে ঘুরছে, ৪ তারিখের পর আমি কাউকে তৃণমূলে ঢুকতে দেবো না। বিজেপি ১৭ রাজ্যে ক্ষমতায় আছে একটা রাজ্যেও লক্ষ্মীর ভান্ডার দিতে পারছে না, আর বলছে বাংলায় জিতলে ৩০০০ টাকা করে দেবে, সব মিথ্যে কথা।