আমাদের ভারত, ৩০ সেপ্টেম্বর: রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার এরজন্য যেমন ডিভিসিকে দায়ী করেছেন তেমনি বন্যায় কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে কোনো রকম সাহায্য করা হয়নি বলেও সরব হয়েছেন। সোমবার কলকাতা এয়ারপোর্টে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন। তাঁর প্রশ্ন, আদৌ কি মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যা প্রসঙ্গে অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কোনরকম আর্থিক সাহায্য করে না। পশ্চিমবঙ্গ
সরকারকে বন্যা নিয়ন্ত্রণে একাই কাজ করতে হয়। হ্যাঁ সম্প্রতি এই অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারই পাল্টা জবাব দিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, আম্ফানের সময় হাজার কোটি টাকা এসেছিল, সেই টাকা কোথায় উবে গেল? আজও ওই সব এলাকায় গিয়ে জিজ্ঞেস করুন, অনেকে আম্ফানের ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি বলে অভিযোগ। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের আ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। পঞ্চায়েত নেতাদের স্ত্রীদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে।
একইসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “প্রাকৃতিক বিপর্যয় সম্পর্কে আপনাকে (মুখ্যমন্ত্রী) প্রধানমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে কথা বলতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী কি কোনো চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে? আমাদের এখানে বন্যা হয়েছে আমাদের সাহায্য দরকার।”
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, উনি তো সারা জীবন লড়াই করেই গেলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে লড়াই, এর সঙ্গে লড়াই, যখনই যাকে পারছেন তাকেই গুঁতোচ্ছেন।
অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে রাজ্যে, এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে বলেন, তৃণমূল নেতাদের টাকা দিলে যা ইচ্ছে তাই রেট নেওয়া যায়। সব বাজারগুলো থেকে তোলাবাজি হয়। কোথায় কী দোকান, বসাবে কী বিক্রি করবে, সমস্ত কিছুর জন্য তৃণমূল নেতাদের পয়সা দিতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই যারা কাটমানি দেবে তারা টাস্ক ফোর্সকে মানবে না।