আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৮ মে: জলপাইগুড়ি শহরে এক যুবতীর আত্মহত্যার ঘটনায় পেশায় শিক্ষক ও এক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত দেবরাজ তলাপাত্রকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করল জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানায় পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করে পুলিশ।
এক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে যুবতী ও যুবতীর পরিবারের সঙ্গে অভিযুক্তের ব্যক্তির পরিচয় হয়েছিল বলে দাবি মৃতার পরিবারের। মৃতার নাম পৌলমি বোস (২১), শহরের আদর পাড়ার বাসিন্দা। সোমবার ফাঁকা বাড়িতে আত্মহত্যা করে পৌলমী।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পবিত্র পাড়ায় এক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পৌলমীর মা ও বাবার যাতায়াত ছিল দীর্ঘদিন থেকে। সেই প্রতিষ্ঠানে অভিযুক্ত অরবিন্দ নগরের বাসিন্দা দেবরাজও যাতায়াত করত। সেই সুবাদে দেবরাজের সঙ্গে পৌলমীর পরিবারের পরিচয় ছিল। ধর্মীয় কাজে পৌলমীর বাড়িতেও যাতায়াত ছিল দেবরাজের। সোমবার নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করে পৌলমী। সুইসাইড নোটে মৃত্যুর জন্য সে দেবরাজকে দায়ী করেছে। সুইসাইড নোট পেয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মৃতার বাবার প্রবাল বসু বলেন, “আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী দেবরাজ। মেয়েকে ফিরে পাবো না। অভিযুক্তের শাস্তি চাই।”
আইসি সঞ্জয় দত্ত বলেন, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলা হয়েছে।
এ দিন ধৃতকে জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান সহকারি সরকারি আইনজীবী সিন্ধু কুমার রায়।