পারুল খামারিয়ার, আমাদের ভারত, ওড়িশা, ৬ নভেম্বর: এদিন ‘দেশের মাটি’ গোষ্ঠীর ‘দেশের মাটি মাতৃ মিলন মন্দির’-এর পক্ষ থেকে ওড়িশার ভদ্রক জেলার ভাণ্ডারী পোখোরী থানার অন্তর্গত কুলনা গ্রামে ‘রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম’-এর সহায়তায় বস্ত্র বিতরণ করা হয়। ছট্ পুজোর প্রাক মুহূর্তে ৫০টি পরিবারের মায়েদের হাতে শাড়ি তুলে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আশ্রমের অধ্যক্ষ মহারাজ স্বামী আশ্রয়ানন্দজী মহারাজ, সমাজসেবী হিমাদ্রী রাউতরায় ও ‘দেশের মাটি’-র সদস্য উত্তম প্রধান।
গত ২৩ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ আছড়ে পড়ে ওড়িশা রাজ্যে। সেই ঝড়ে প্রচুর মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। সাময়িক গৃহহীন হয়ে পড়েন অনেক মানুষ। সেই ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাথে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেবার জন্য দেশের মাটির সদস্য ড: কল্যাণ চক্রবর্তী, মিলন খামারিয়া ও ড: অলি ব্যানার্জি মিলে পরিকল্পনা করেন বস্ত্র বিতরণ করা হবে ওড়িশায়। এই পরিকল্পনা এদিন বাস্তবায়িত হল।
রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম-এর মহারাজ জানান যে, “শিব জ্ঞানে জীব সেবার কথা বলেছেন স্বামী বিবেকানন্দ। মানুষকেই দেবরূপে পূজার কথা বলেছেন স্বামীজী। মানুষের দু:খের সময়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। শ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীমা ও স্বামী বিবেকানন্দ-এর দেখানো পথে আমাদের চলা উচিত। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ‘দেশের মাটি মাতৃ মিলন মন্দির’ গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামী দিনেও তারা একইভাবেই যেন মানুষের পাশে থাকে।”
দেশের মাটি মাতৃ মিলন মন্দিরের সদস্যা ড: অলি ব্যানার্জি বলেন,”আমরা দেশের মাটি মাতৃ মিলন মন্দির-এর সমস্ত সদস্যারা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি ভদ্রকের মানুষের কাছে, তারা আমাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সাহায্যে আমরা এই বস্ত্র বিতরণের কাজ সুসম্পন্ন করতে পেরেছি। তার জন্য মহারাজজীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।”
এই বস্ত্র বিতরণের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ড: কল্যাণ চক্রবর্তী ও মিলন খামারিয়া।