পারুল খামারিয়া, আমাদের ভারত, আরামবাগ, ১ নভেম্বর: হুগলি জেলার পুড়শুড়া বিধানসভার অন্তর্গত জঙ্গলপাড়া গ্রামে শ্রীশ্রী কালী পূজা ও শুভ দীপাবলি উপলক্ষ্যে ১৫০টি দুঃস্থ পরিবারের হাতে বস্ত্র তুলে দিল ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’ কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে পাঁচ শতাধিক মানুষের হাতে মায়ের আশীর্বাদ স্বরূপ পরমান্ন তুলে দেওয়া হয়। দেশের মাটি কল্যাণ মন্দিরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিক্ষক মিলন খামারিয়া ও অধ্যাপক ড: কল্যাণ চক্রবর্তীকে এই কাজের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এই বস্ত্রদান শিবিরের আয়োজন করে দেশের মাটি কল্যাণ মন্দিরের আরামবাগ শাখা।
আরামবাগ শাখার কার্যকর্তা অয়ন নাগা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ বছর বর্ষা শেষে যে ব্যাপক বন্যা আরামবাগ সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে দেখা দিয়েছিল, সেই পরিস্থিতিতে তারা দেশের মাটির উদ্যোগে খিচুড়ি বিতরণ করেছিলেন গ্রামে। প্রায় সাতশো মানুষ অন্নগ্রহণ করেন। তখনই ঠিক হয়, বন্যাদুর্গত কয়েকজন মানুষের হাতে নববস্ত্র তুলে দেবে ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’। অবশেষে কালীপুজো ও দীপাবলীকে কেন্দ্র করে তা সংগঠিত হল।
দেশের মাটির সদস্যরা সমবেতভাবে এই সেবা কাজ চালানোর ফলে স্থানীয় মানুষের মধ্যে এই সংগঠন সম্পর্কে একটি সদর্থক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। অয়নবাবু বলেন, এই পরিবেশে আরও সেবামূলক কাজের কথা ভেবেছে এই সংগঠন, বিশেষত কৃষি উন্নয়ন। কৃষকের পাশে থেকে তাদের উন্নত চাষ পদ্ধতির বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবার চেষ্টা করবে দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির।
দেশের মাটির আর একজন সদস্য ধ্রুব জ্যোতি পাল জানান যে,দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজ করছে। সাধারণ মানুষ আমাদের সেবা করার সুযোগ দিচ্ছেন,তার জন্য আমরা মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ।