Deshar Mati Kalyan Mondir, পর্যাবরণ বজায় রাখার গুরুত্ব উপলব্ধি করালো ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’

আমাদের ভারত, রানাঘাট, ৫ জুন: গাছ কেটে প্রতিদিন শহর বাড়ানো হচ্ছে, শহরের অসুখ হল গাছ খাওয়া। কাঠের আসবাবপত্র, কাগজ তৈরি বা অন্যান্য অনেক কারণেও প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ গাছ কাটা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। যে পরিমাণ গাছ কাটা হচ্ছে সেই ক্ষতিপূরণ করার জন্য সমানুপাতিক গাছ লাগানো হচ্ছে না। আবার প্রতি বছর যে পরিমাণ গাছ ঢাক-ঢোল পিটিয়ে লাগানো হয়, যথাযথ বেড়া না দেওয়া বা পরিচর্যার অভাবের কারণে গাছ বাঁচে না। তাই গাছ লাগানোর আড়ম্বর থাকলেও বাঁচানোর উদ্যোগ খুব কম দেখা যায়।

তাই সব দিক বিবেচনা করে পরিবেশ রক্ষার কাজে এগিয়ে এল ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির’। আজ ৫ ই জুন, ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্‌যাপন’ উপলক্ষে, নদিয়া জেলার বীরনগরের জয়পুর গ্রামে, লেবুর চারাগাছ বিতরণ করল এই সংগঠন।

এদিন সকাল বেলায় গ্রামবাসীদের সামনে গাছ লাগানোর উপকারিতা সম্পর্কে বলেন, ‘দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির”-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মিলন খামারিয়া। তিনি বলেন, আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস। সারা বিশ্বজুড়ে এই দিনটি পালন করা হচ্ছে, পরিবেশ রক্ষার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করিয়ে গাছ লাগানোর মাধ্যমে। গাছ আছে বলেই আমরা অক্সিজেন, ফুল-ফল ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী পাই। উপকূল অঞ্চলে সামদ্রিক জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে গাছ। সব দিক দিয়ে বিচার করে বলা যায়— গাছ আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। গাছ লাগান, নিজেদের বাঁচান।

তিনি আরও বলেন, গাছের ফলমূল খেয়ে পশুপাখিরা বেঁচে থাকে। তারা কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসলের ক্ষতিকর পোকা গুলো মেরে ফেলে।সনাতন ধর্মে পর্যাবরণ রক্ষা করার জন্য আমাদের দেবদেবীর বাহন করা হয়েছে পশুপাখিদের। হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের সভ্যতায় গাছের পুজো করা হচ্ছে। গাছ না থাকলে পশুপাখি খাবে কী? মানুষ খাবে কী? তাই সময়ে থাকতে ভাবুন। আসুন, আমরা সবাই মিলে একটা সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলার শপথ গ্রহণ করি, যাতে আমরা ও আমাদের আগামী প্রজন্ম সুন্দর ও সুস্থভাবে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারে। আমরা ১০০% বাঁচানোর জন্য বাড়ি বাড়িতে গাছ দিচ্ছি এই জন্যই। আগে দিয়ে বেড়া তারপর ধরুন গাছের গোড়া।

এই গাছ বিতরণ নিয়ে কৃষি বিজ্ঞানী অধ্যাপক কল্যাণ চক্রবর্তী বলেন, দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির অনেক বছর ধরেই বিভিন্ন সেবাকাজ করছে, তারমধ্যে গাছ লাগানো অন্যতম। তাদের ভাবনাকে রাজ্য তথা দেশবাসী গ্রহণ করুক – তাহলেই সমাজ ও সভ্যতার কল্যাণ হবে বলে আমি মনে করি।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির-এর সদস্য – রাজকুমার খামারিয়া, ভজিন্দ্রনাথ বিশ্বাস, তাপস মোদক, কার্তিক বিশ্বাস-সহ আরও অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *