পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ এপ্রিল: ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে দেবের সাথে প্রচারে এলেন অভিনেতা ও বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দেব কাঞ্চনকে ঘাটালে নির্বাচনী প্রচারের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে ভোটের প্রচারে গিয়ে কাঞ্চন মল্লিককে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। কোন্নগরে নিজের প্রচার গাড়ি থেকে কাঞ্চন মল্লিককে নামিয়ে দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণবাবু বলেন, “সরি টু সে, আমায় তো ভোটটা করতে হবে, তোমাকে দেখলে গ্রামের মহিলারা রিঅ্যাক্ট করছে।” গাড়ি থেকে নেমে যান কাঞ্চন। এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে বেশ শোরগোল পড়ে যায়। কাঞ্চনের পাশে দাঁড়ান ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী দেব। তিনি বলেন, কল্যাণ দা তার মতো করে কাজ করেছেন। আমি ফোন করে কাঞ্চন দা’কে ঘাটালে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। সেইমতো কাঞ্চন মল্লিক আজ কেশপুরে দেবের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচার করলেন। মঙ্গলবার বিকেলে তেঘরি অঞ্চলের মোহনপুর, আমলাবনী, আনন্দপুর হয়ে কেশপুরে গিয়ে প্রচার শেষ হয়।
প্রচার শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেব বলেন, প্রথমবার কেশপুরে কাঞ্চন দা আমার সঙ্গে আসলো। আস্তে আস্তে কাঞ্চন দা বলছিলো কেশপুরে রাস্তাঘাট কত উন্নত হয়ে গেছে। হিরণের অভিযোগের ভিত্তিতে দেব বলেন, এটা বিধানসভা নির্বাচন নয়। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোট। উনি কেন্দ্রের এমন দশটা বা পাঁচটা প্রকল্পের নাম বলুন যেটায় কেশপরের মানুষ সুবিধা পেয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ঘাটালের আসল কাজ ঘাটাল মাস্টারপ্যান রূপায়ণের রূপরেখা তৈরি হয়ে গেছে। এখানে “কন বানেগা মুখ্যমন্ত্রী নয়, কন বানেগা প্রধানমন্ত্রী”র ভোট হচ্ছে। তবে আগামী লোকসভার থেকে কেশপুরে ভোটে মার্জিন বাড়বে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করতে তিনি বলেন, মার্জিনের নেশা আমার নেই। একটা ভোটে জিতলেও সেটাকে জয় বলে আমি মনে করি। কেশপুরের এত মানুষের ভালোবাসা আমার সঙ্গে রয়েছে এটাই আমার কাছে অনেক।
দেবকে হিরণের ব্যক্তিগত আক্রমণের উত্তরে তিনি বলেন, যদি এক বছর আগের থেকে ভোট ঘোষণা হতো, তাহলে হিরণ বলতো দেবের জন্যই মনে হয় ভারত ওয়ার্ল্ড কাপ হেরে গেছে। তবে কাঞ্চন মল্লিককে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কেশপুরে মানুষের যে ভালবাসা পেয়েছি, তাতে আমি আপ্লুত। এত মানুষের ভালোবাসা দেবের সঙ্গে আছে তাতে দেব অনেক বেশি ভোটে জিতুক এটাই আমি চাইবো।