আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১৫ নভেম্বর: ফাঁকা রেজুলেসন খাতায় সই করাকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের সঙ্গে বচসা। শেষ পর্যন্ত সেই বচসা গড়াল থানায়। প্রধানের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ কংগ্রেস সদস্যার স্বামীকে অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠাল। বিচারক তাকে চারদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বীরভূমের রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের দুনিগ্রাম পঞ্চায়েতে সাধারণ সভা ডাকা হয়েছিল। সভায় শাসক দলের পাশাপাশি বিরোধী সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। বিরোধীদের অভিযোগ, সভার শুরুতেই রেজুলেসন খাতায় সই করতে বলা হয়। কিন্তু সেটা না করায় বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী কংগ্রেসের দুনিগ্রাম অঞ্চল সভাপতি হুমায়ূন কবির ওরফে আঙ্গুর দরজা ধাক্কা দিয়ে সভা কক্ষে ঢুকে পড়ে। দরজা ধাক্কা দেওয়ার ফলে এক পঞ্চায়েত কর্মী জখম হন বলে শাসক দলের দাবি। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা করানো হয়েছে। সন্ধ্যায় দুই পক্ষকে মাড়গ্রাম থানায় ডেকে পাঠানো হয়। রাতে পঞ্চায়েত প্রধান রেখা মাল আঙ্গুর এবং বিজেপি সদস্য প্রসেনজিৎ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ আঙ্গুরকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলা দিয়ে এদিন তাকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি মিল্টন রশিদ বলেন, “পঞ্চায়েতের সভায় ফাঁকা খাতায় সই করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে দুর্নীতি করতে চেয়েছিল। বিরোধীরা তার প্রতিবাদ করেছিল। আমাদের অঞ্চল সভাপতি আঙ্গুর শাসক দলের দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিল। তাই তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দেওয়া হল। শাসক দল এবং পুলিশ যতই আমাদের নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠাক আমরা গরিব মানুষের স্বার্থে লড়াই চালিয়ে যাব। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি চুরি করতে দেব না”।