তৃণমূলকে নিয়ে বামেদের মতবিরোধ প্রকাশ্যে, বিজেপির বিরুদ্ধে মমতাকেও চায় সিপিআই

তারক ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ২ ফেব্রুয়ারি: সিপিএমের দাবি, বিজেপি-তৃণমূলের গোপন আঁতাঁত রয়েছে। বারবার প্রকাশ্যে একথা বলেছেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তীরা। কিন্তু, এই সিপিএম নেতাদের মতো মোদি-দিদি আঁতাঁতের অভিযোগ মানতে নারাজ সিপিআই। উলটে, দলের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা রবিবার মোদি-বিরোধী জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের অংশগ্রহণও চাইলেন। এই ব্যাপারে রবিবার ধর্মতলায় রাজা বলেন, ‘আমরা সব গণতান্ত্রিক দলকেই বিজেপির বিরুদ্ধে চাই।’

সম্প্রতি, বিজেপি-বিরোধী জোটের বৈঠক এড়িয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর রাজ্যে এসে তা নিয়ে আক্ষেপ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে তৃণমূল সুপ্রিমোকে তাঁর দল কংগ্রেস বিরোধী-জোটের বৈঠকে চাইবে। এদিন মেয়ো রোডে চিদাম্বরমের সেই আহ্বানই কার্যত ধ্বনিত হল সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদকের মুখে। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই হতেই পারে। কিন্তু, কেন্দ্রীয়স্তরে মিলিতভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।’ বিরোধী জোটের বৈঠক এড়িয়ে যাওয়ার পিছনে তৃণমূল সুপ্রিমো বাম-কংগ্রেসের উগ্র তৃণমূল বিরোধিতাকে দায়ী করেছিলেন। রাজার এদিনের বক্তব্য যে কার্যত তৃণমূল সুপ্রিমোর সেই অভিযোগেরই জবাব ছিল, সেকথা বুঝতে স্বভাবতই কারও কোনও অসুবিধে হয়নি।

এদিন মেয়ো রোডের এই সভার পর কলকাতার ভূপেশ ভবনে শুরু হয় সিপিআইয়ের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন। দেশের নানা প্রান্তের ১৫৪ জন প্রতিনিধি ছাড়াও ৪০ জনের মতো আমন্ত্রিত প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন এই সভায়। এই অধিবেশনে দলের ভবিষ্যৎ আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *