সিএএ বিরোধীরা রাষ্ট্রদ্রোহী, বললেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সভাপতি

আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ২ ফেব্রুয়ারি: সিএএ বিরোধীদের রাষ্ট্রদ্রোহী বললেন হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সভাপতি স্বরূপ দত্ত। তাঁর তার বক্তব্য, যারা এই আইনের বিরোধিতা করছে তারা দেশবিরোধী ছাড়া কিছু নয়। সংগঠনের সম্পাদক উত্তম অধিকারী বক্তব্য, এতদিন হিন্দু শরণার্থীদের ওপর অবিচার করা হয়েছে এই আইনের মাধ্যমে তাদের মর্যাদা দেওয়া হল। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনার লক্ষ্মীকান্তপুর বাজারে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের জনভায় একথা বলেন তাঁরা।

সিএএ এবং এনপিআরের সমর্থনে আজ লক্ষ্মীকান্তপুর বাজারের কাছে জনসভা করে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। এই সভায় কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। সংগঠনের নেতাদের দাবি, প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিল। এই সভায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সভাপতি স্বরূপ দত্ত বলেন, সিএএ এখন সাংবিধানিক আইন। তাই এই আইনের বিরোধীতা করা মানে রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করা। সুতরাং যারা রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করে তাদের রাষ্ট্রদ্রোহী বলা যায়। তিনি বলেন, সরকারের কঠিন শাস্তি দেওয়া উচিত এই রাষ্ট্রদোহীদের।

সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক উত্তম অধিকারী বলেন ৭৫ বছর ধরে যে পাপ কংগ্রেস এবং বামপন্থীরা হিন্দু শরণার্থীদের প্রতি করে এসেছে, তার প্রয়শ্চিত এই আইনের মাধ্যমে হয়েছে। এই বামপন্থীরা মরিচঝাঁপির হিন্দু শরণার্থীদের হত্যা করেছে। আজ যখন হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে তখন, হিন্দু শরণার্থী হত্যাকারী বামপন্থীদের এত গায়ে লাগছে কেন? ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে বর্তমান পূর্ব বঙ্গের হিন্দুদের অবদান সবচেয়ে বেশি, অথচ দেশ ভাগের বলি হতে হলে তাদের সবচেয়ে বেশি। মা বোন ধর্ষিত হল। কি দোষ ছিল তাদের? বিভাজন ও পূর্ববঙ্গে হিন্দু নিধনের ফলে ভিখারী হতে হল তাদের। এই আইনের মাধ্যমে সেই সমস্ত মানুষদের সম্মান প্রদান নায্য অধিকার প্রদান করা হয়েছে। সঞ্জয় শাস্ত্রী বলেন, যাদের এই দেশ পছন্দ নয়, সিএএ পছন্দ নয় তারা পাকিস্তানে চলে যাক, যাওয়ার টিকিট হিন্দু জাগরণ মঞ্চ দেবে। এদিনের সভা ঘিরে ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *