আমাদের ভারত, ২ জুন : ইতিমধ্যেই দশম শ্রেণি ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড এর পরীক্ষা জুলাই মাসে হয়ে যাবে তা ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর স্কুল খুলতে পারে এমনটাই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পখরিয়াল। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণভাবে একমত নন অভিভাবকরা। এটা আগুন নিয়ে খেলার সমান হতে পারে বলে ধারণা তাদের। অভিভাবকদের বক্তব্য স্কুল শুরু হলে আদৌ কি বাচ্চাদের সামলে রাখা যাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে? আর সেই আশঙ্কা থেকেই কেন্দ্র সরকারের কাছে অভিভাবকরা পিটিশন জমা দিয়েছেন।
এই পিটিশনে আর্জি জানানো হয়েছে, জুলাই মাসে স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা না করাই ভালো। তার থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর স্কুল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিক সরকার। যদিও রমেশ পখরিয়াল আগেই জানিয়েছিলেন জুলাই মাসের পরিস্থিতি কেমন থাকে তা বিচার করেই স্কুল খোলার ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কিন্তু অভিভাবকদের মতে চলতি বছরের শিক্ষাবর্ষটিকে অনলাইনে শেষ করা হোক। সেই অনলাইন পিটিশনে সই করেছেন প্রায় ২ লক্ষ ১৩ হাজার অভিভাবক।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ৩০শে জুন স্কুল খুলতে পারে। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন রাজ্যের সব স্কুল ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে আজ আবারও উচ্চমাধ্যমিকের স্থগিত পরীক্ষার সূচিও পাল্টে দেওয়া হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের অবশিষ্ট তিনটি পরীক্ষা হবে ২,৬,৮ জুলাই।
কেন্দ্র যে আনলক ওয়ান বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তাতে বলা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে স্কুল-কলেজ খোলার দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে। আর তাতেই অনুমান করা হচ্ছিল জুলাইয়ে খোলা হতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায় অভিবাবকদের কপালে। দেশে করোনা সংক্রমন ২ লাখ ছুঁইছুঁই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন জুলাইয়ে সংক্রমণের সংখ্যা সর্বোচ্চ হতে পারে। আর তাই পিটিশনে অভিভাবকযা লিখেছেন জুলাই মাসের স্কুল খোলাটা একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে না। এটা অনেকটাই আগুন নিয়ে খেলার মতো বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। তাদের দাবি এই শিক্ষাবর্ষটিকে অনলাইন মাধ্যমে শেষ করা উচিত ছাত্র- ছাত্রীদের সুরক্ষার স্বার্থে।