কৃষ্ণনগর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শান্তিপুরের নিষিদ্ধ পল্লিতে কমিউনিটি কিচেন

স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ৫ জুন: নিষিদ্ধ পল্লিতে কমিউনিটি কিচেন করল কৃষ্ণনগর প্রেসক্লাব। লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব ও করোনায় তাদের রোজগারে ভাটা পড়েছে। গ্রাহক সংখ্যা দিনে দিনে তলানিতে ঠেকেছে। তাই তারা খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এই অবস্থায় এগিয়ে এল কৃষ্ণনগর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা।

শান্তিপুরের মালোপাড়া অধিকাংশ মানুষের কাছেই যৌনপল্লি হিসেবেই পরিচিত। যদিও এখানে যৌনপল্লি ছাড়াও অন্যান্য পেশায় জড়িত বহু মানুষের বসবাস, কিন্তু এখানে মালোপাড়া বললেই যৌনকর্মীদের কথাই আগে মনে হয়। বর্তমানে করোনা থাবা বসিয়েছে এই যৌনপল্লিতে। করোনার ভয়ে মানুষ এদের সঙ্গ ছেড়েছে। গ্রাহক সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকজন। মেয়েদের হাতে পয়সা নেই। ভাড়ারে যা জমেছিল লকডাউনে তাও শেষ হয়ে গেছে। যদিও বা আগে খদ্দের আসতো কিন্তু এখন করোনার ভয়ে তাও দিবাস্বপ্ন। এই চিন্তা তাদের কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। কারণ তাদের কাছে আর কাজ করার বিকল্প কোনও রাস্তা নেই। খদ্দেরকে খুশি করেই তাদের সংসার চলে। আর তারাই যদি না আসেন তাহলে আগামী দিনে কি হবে।

২৫০ জন যৌনকর্মী আছেন এই নিষিদ্ধ পল্লিতে। বিগত চার মাস হল তাদের কোনও কাজ নেই। প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ভাবে তারা কিছুদিন সাহায্য পেয়েছে। সরকারিভাবে কিছু ত্রাণও তারা পেয়েছেন। এরপর কয়েকদিন এগিয়ে এসেছেন কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তারাও দু-একদিন তাদের শুকনো খাবার দিয়ে সাহায্য করেছেন। আর তাদের এই অবস্থার কথা ভেবে এবার এগিয়ে এল কৃষ্ণনগর প্রেসক্লাব। বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পরিবেশ বাঁচাও এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বৃক্ষ রোপণ করে শুরু করা হল নিষিদ্ধপল্লিতে কমিউনিটি কিচেন।

কৃষ্ণনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি অমিত কুমার ঘোষ জানান, সাধারণ মানুষের রেশন কার্ড আছে ফলে তারা রেশনের সুবিধা পাচ্ছে, যাদের রেশন কার্ড নেই তারাও লোকসমাজে বেরোয় বলে তাদেরও খাবারের অভাব হচ্ছে না, কিন্তু ওরা তো বাইরে খুব একটা বেরোয় না যার ফলে ওদের খাবারের অভাব হচ্ছিল। আশা করি এখন কয়েকদিন ওদের খাবারের অভাব হবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *