আমাদের ভারত, ১২ মার্চ: দেশজুড়ে সিএএ কার্যকর হয়েছে। নির্বাচনের আগে কেন সিএএ কার্যকরের চেষ্টা? গতকালই নবান্নে জরুরি বৈঠক করে এই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কোনো বৈষম্য মেনে নেবেন না। এটা রাজনৈতিক পরিকল্পনা। সেই জন্যই নির্বাচনের মুখে এটা করার প্রয়োজন পড়েছে। এই প্রসঙ্গে পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন। তাঁর দাবি, তৃণমূল সবাইকে ভুল বুঝিয়ে উস্কানি দিচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সিএএ নিয়ে নাগরিকত্ব বাতিল হলে তীব্র প্রতিবাদ করা হবে। সিএএ’র নামে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা চলবে না, এটা ছলনা। যারা বাংলা তথা দেশে বসবাস করেন তারা প্রত্যেকেই নাগরিক। এর পাল্টায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে বলছেন। কারো নাগরিকত্ব যাবে না। সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলে ভোটের সময় কিছু মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। প্রতিবারই করেন, এটা নতুন কিছু নয়। আমরা যে সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব দেব বলেছি তাতে সবাই নাগরিকত্ব পাবেন, নাগরিকত্ব যাওয়ার এক শতাংশও সম্ভাবনা নেই। মুখ্যমন্ত্রী যে মিথ্যে কথা বলছেন সেটা আমরা কাগজে-কলমে প্রমাণ করে দেখিয়ে দেব। আগামী দু’ বছরের মধ্যে অ্যাপ্লাই করে নাগরিকত্ব পেয়ে যাবে। পশ্চিমবঙ্গে কারো নাগরিকত্ব বাতিল হলে তার নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব সুকান্ত মজুমদারের।
২০১৯ সালে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই সিএএ পাশ করিয়েছিল মোদী সরকার। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে বিতারিত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সী এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের জন্য সিএএ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এর মাধ্যমে যারা উদ্বাস্তু মানুষ আছে, যারা বাংলাদেশ থেকে, ওপার থেকে ধর্মীয় কারণে আসতে বাধ্য হয়েছেন, তাদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কারোর নাগরিকত্ব এর ফলে যাবে না। এবার প্রমাণিত হয়ে যাবে সব সময়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যে কথা বলছিলেন। মুসলিমদের মিথ্যা কথা বলে উস্কেছিলেন।