Heat, Student, purulia, তীব্র দাবদাহ পুরলিয়ায় প্রাণ গেল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ১১ জুন: অস্বস্তির সূচক বেড়েই চলেছে। শেষ পর্যন্ত তীব্র দাবদাহের কারণে প্রাণ গেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক পড়ুয়ার। ঝালদা ১ নম্বর চক্রের সারজুমহাতু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। মৃত ছাত্রের নাম ভুবন মাহাত(১০)। গ্রীষ্মের ছুটি শেষ হয় রবিবার। সোমবার স্কুলে যায় সে। স্কুলে মক সংসদের অন্যতম সদস্য ছিল সে। সংসদের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ছিল সে বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক মণীন্দ্র সরেন। তিনি বলেন, “গ্রীষ্মের ছুটির পর স্কুল খুলল। সোমবার, ভুবন শেষ পর্যন্ত ক্লাস করেছিল। ও স্কুলে খুব সক্রিয় ছিল। স্কুল সংসদে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ছিল সে। আমরা শোকাহত।”

জানা গিয়েছে, ওইদিন স্কুলের রান্না করা মিড ডে মিল খায় সে। তারপর বাড়িতে গিয়ে কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের লোকেরা তাকে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হাতোয়াড়া মর্গে। প্রাথমিক অনুমান অত্যাধিক গরমের কারণেই ছাত্রটি মারা যায়।

এদিকে, গ্রীষ্মের শেষের দিকে নাভিশ্বাস উঠেছে পুরুলিয়াবাসীর। স্কুলগুলি খোলা থাকলেও পড়ুয়াদের উপস্থিতি একেবারে হাতে গোনা। সামনেই সেমিস্টারের পরীক্ষা। তাই, গরমে ঝুঁকি নিয়েই স্কুলে পাঠাচ্ছেন অভিভাবকরা। শিক্ষা দফতরের নিদের্শ না থাকায় সকালে স্কুল করাতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। বাস্তব পরিস্থিতি মাথায় রেখে শিক্ষা দফতরের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল বলে জানান অভিভাবকরা।

স্কুল খোলার প্রথম দিন বেশ কয়েক জন পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। পুরুলিয়া ২ ব্লকের বোঙ্গাবাড়ি গার্লস হাই স্কুলে এমন ঘটনা ঘটেছে। ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ভারতী মির্ধা বলেন, “আমরা আজ পরিচালন কমিটি মিলে বৈঠক করে সকালে স্কুল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আবেদন করব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে, সেটা অনুমোদন পেলেই করতে পারব। এই পরিস্থিতিতে স্কুলে ছাত্রীর সংখ্যা খুব কম।”

ইতিমধ্যেই বেশ কিছু স্কুল সকালে চালু করেছে। জেলা বিদ্যালয় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান রাজীব লোচন সরেন বলেন, “আমরা বিষয়টি জেলা বিদ্যালয় (প্রাথমিক) পরিদর্শকের মাধ্যমে দফতরে জানিয়েছি। অভিভাবকদের আরও বেশি সতর্ক হওয়ার আবেদন জানাই। এছাড়া সকালে স্কুল করার জন্য আমাদের আগে থেকেই বলা হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *