Tathagata, Mamata, আরজিকর নৃশংসতা থেকে মনোযোগ সরানোর চেষ্টার দাবি মমতার বিরুদ্ধে

আমাদের ভারত, ২৯ আগস্ট: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরজিকর নৃশংসতা থেকে মনোযোগ সরানোর চেষ্টা করছেন বলে দাবি করলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।

বৃহস্পতিবার এক এক্স বার্তায় তথাগতবাবু লিখেছেন, “ধর্ষণের জন্য বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ড, এবং ১০ দিনের মধ্যে বিচার বিভাগীয় কার্যক্রম শেষ করার বিষয়ে মমতার বক্তৃতা এতটাই ঘোলাটে, যেটি আরজিকর নৃশংসতা থেকে মনোযোগ সরানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট বচ্চন সিংয়ের মামলায় রায় দিয়েছিল যে কোনও মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে অবশ্যই দু’ভাগে বিচার হতে হবে। এই ধরনের বিচার ১০ মাসেও শেষ করা যাবে না, ১০ দিনের কথাই ছেড়ে দিন। এটি পুরানো দণ্ডবিধির ৩০৩ ধারাকেও বাতিল করেছে, যাতে বাধ্যতামূলক মৃত্যুদণ্ড বেআইনি হয়ে যায়। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা সংবিধান বা সুপ্রিম কোর্ট দ্বারা নির্ধারিত আইনকে অগ্রাহ্য করতে পারে না। তাই তিনি যে কথা বলছিলেন তা সব ভিত্তিহীন এবং আজগুবি। আমি একটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে এই সব পেয়েছি।”

এই বার্তা প্রধানমন্ত্রীর দফতর, অমিত শাহ, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং রাজ্য বিজেপি-র এক্স-সংযোগের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।

অপর এক এক্স বার্তায় এদিন তথাগতবাবু লিখেছেন, “আবার বলছি, ধর্ষণের মামলায় ফাঁসি আর সাত দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য মমতার ঘোষণা ধোঁকাবাজির চরম। আসামি তৃণমূলের ক্যাওড়া হলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের কেসই দেবে না। এতই যদি ধর্ষিতার জন্য দরদ তাহলে সন্দেশখালির শাজাহানের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন?”

আরও এক এক্স বার্তায় তথাগতবাবু লিখেছেন, “খুব জাঁক করে ঘোষণা করেছেন মমতা, উনি নাকি ধর্ষণের জন্য ফাঁসির আইন আনবেন। এটা যে কত বড় ঢপ তা দিনের আলোর মত পরিষ্কার। সব কিছু নির্ভর করে পুলিশ কি কেস দেবে তার উপরে। পশ্চিমবঙ্গে কোনো তৃণমূলের ক্যাওড়া ধর্ষণ করলে মমতার পুলিশ তাকে একটা জামিন যোগ্য কেস দেবে। আর অন্য দলের কেউ একটা ধাক্কা দিলেই তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের কেস দিয়ে দেবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *